বন্যার্তদের রক্ষায় শুরু থেকে সরকার চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে —কমরেড বজলুর রশীদ

6

বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ভয়াবহ বন্যায় সিলেট-সুনামগঞ্জসহ দেশের বন্যা কবলিত অঞ্চলের জনগণ সবকিছু হারিয়ে সর্বশান্ত হয়েছে। ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়েছে কৃষক-ক্ষেতমজুরসহ গ্রামীণ শ্রমজীবী মানুষ। বানের পানিতে তাদের ঘর-বাড়ী বিধ্বস্ত হয়েছে, আসবাবপত্র, দোকানপাট, গোলার ধান, গবাদি পশু, হাস-মুরগি ও ফসলের বীজ ভেসে গিয়েছে। বন্যার শুরু থেকে সরকার -প্রশাসন আগাম সতর্কবার্তা প্রেরণ, নিরাপদ আশ্রয়ে মানুষদের সরিয়ে নেয়া, দুর্গত মানুষের জন্য খাদ্য, শিশু খাদ্য, গবাদি পশুর খাদ্য, খাবার পানি ইত্যাদির ব্যবস্থা গ্রহণে চরম উদাসীনতা ও ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে।
কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা ও ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করে উপযুক্ত অর্থ প্রদান করে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া শুরু করা এবং ব্যাংক ঋণ, এনজিও ঋণের সুদ সম্পূর্ণ মওকুফ এবং এনজিওদের কিস্তি আদায় সম্পূর্ণ রূপে ৬ মাস বন্ধ রাখার আহবান জানান।
বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল-বাসদ সিলেট জেলা শাখার উদ্যোগে সিলেট -সুনামগঞ্জে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের জন্য আর্থিক সহযোগিতা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন বাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ। বুধবার বিকাল ৩টায় জিন্দাবাজারস্থ নজরুল একাডেমীতে বাসদ সিলেট জেলা শাখার সমন্বয়ক আবু জাফর এর সভাপতিত্বে ও জেলা সদস্য প্রণব জ্যোতি পাল এর সঞ্চালনায় এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ আবুল কাশেম, দনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি দেবাশীষ রঞ্জন দাস, জেলা বাসদ সদস্য নাজিকুল ইসলাম রানা প্রমুখ।
এর আগে কমরেড বজলুর রশীদ ফিরোজ বাসদ সিলেট জেলা এবং প্রগতিশীল চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যসেবা ফোরামের উদ্যোগে ডাঃ মনীষা চক্রবর্তীর পরিচালনায় ২য় দিনের মতো সদর উপজেলার টুকেরবাজারে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। বিজ্ঞপ্তি