স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর দক্ষিণ সুরমার মোমিনখলায় ট্রান্সপোর্ট ব্যবসায়ী নিজাম আহমদ (৪০) খুনের দায়েরকৃত মামলায় গ্রেফতারকৃত আসামী ঘাতক স্ত্রী গেনি বেগম (৩৫) হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ফৌজদারী আইনের ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতের বিচারক জিয়াদুর রহমানের আদালতে তিনি অর্ধঘণ্টা এ জবানবন্দী প্রদান করেন। জবানবন্দী শেষে আদালতের বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন।
তিনি জানান, এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাত ১২ টার দিকে ওসি (তদন্ত) মো: মোখলেছুর রহমানসহ এক দল পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ফেঞ্চুগঞ্জের ঘিলাছড়া যুধিষ্টিরপুর গ্রামের হাকালুকি জিরো পয়েন্ট থেকে ঘাতক স্ত্রী গেনি বেগমকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃত গেনি বেগম ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ঘিলাছড়ার যুদিষ্টি গ্রামের মধ্যপাড়ার আছাই মিয়ার কন্যা।
আদালতের জিআরও জানু মিয়া জানান, স্বামীকে খুন করার দায়ে নিহতের স্ত্রী গেনি বেগম সিলেট মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ১ম আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি (তদন্ত) মোখলেছুর রহমান জানান, টাকা আত্মসাতের কোন ঘটনা ঘটেনি, এ তথ্য সঠিক নয়। মূলত পারিবারিক কলহের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে। এই হত্যাকান্ডের সাথে আর কেউ জড়িত আছে কিনা এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যতটুকু জেনেছি এই হত্যাকান্ড তিনি একাই ঘটিয়েছেন। তিনি আরও জানান, নিহত নিজামের ভাতিজা তুহিন আহমদ মামলার এজাহারে যেসব অভিযোগ করেন (পারিবারিক কলহ) আদালতে নিহতের স্ত্রী একই কথা বলেছেন। নিহত নিজামের সাথে গেনি বেগমের বিয়ে হয় প্রায় ১৮ বছর পূর্বে। রাফি (১৫) ও রাহি (১০) নামে তাদের সংসারে দুই সন্তান রয়েছে।
কি কারণে এভাবে স্বামীকে হত্যা করেছে এমন প্রশ্ন করলে দক্ষিণ সুরমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আক্তার হোসেন বলেন, গ্রেফতারকৃত গেনি বেগম সবসময় স্বামীকে সন্দেহের চোখে দেখতো। ঠিক মতো সে বাসায়ও আসতো না এ নিয়ে তাদের পরিবারের কলহ লেগে থাকতো এবং দু’জনের বনিবনা হচ্ছিল না। তিনি বলেন, ধৃত গেনি বেগমের ছেলে রাফি আদালতে ২২ ধারার জবানবন্দী নেয়া হয় আর রাহিকে তার নানার বাড়ির লোকজনে জিন্মায় প্রদান করা হয়েছে বলে জানান তিনি।