স্টাফ রিপোর্টার :
সিলেট জেলা বিএনপি নেতা আ ফ ম কামাল খুনের ঘটনার মামলায় গ্রেফতারকৃত ৩ আসামিকে ৫ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। গতকাল সোমবার দুপুরে তাদের আদালতে প্রেরণ করে ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তাদের ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মুহাম্মদ মাইনুল জাকির। তিনি বলেন- গত রবিবার আবেদন শুনানির কথা থাকলে অনিবার্য কারণবশত গতকাল সোমবার সে শুনানি হয়।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হচ্ছেন, এয়ারপোর্ট থানার বাদামবাগিচা আবাসিক এলাকার মাসুকের পুত্র মিশু (২৬), বড়বাজার গোয়াইপাড়ার মৃত নুর মিয়ার পুত্র মনা (২৫) ও একই এলাকার মৃত নুর মিয়ার পুত্র কুটি মিয়া (২৪)। এদের মধ্যে মিশু মামলার এজাহারনামীয় ৪, মনা ৬ ও কুটি ৫ নং আসামি।
জানা গেছে, গত ৬ নভেম্বর রাত সাড়ে ৮টার দিকে সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক আ ফ ম কামাল সিলেট বিমানবন্দর এলাকা থেকে আম্বরখানা বড়বাজার হয়ে গোয়াইটুলার দিকে যাচ্ছিলেন। এসময় তার গাড়িকে অনুসরণ করে দুটি মোটরসাইকেল। তাতে আরোহী ছিলেন তিনজন। পরে আরেকটি মোটরসাইকেলে থাকা দুই ব্যক্তি বড়বাজার ১১৮নং বাসার সামনে কামালের গাড়ির গতিরোধ করে। পরে তাকে এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে খুনিরা পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা কামালকে উদ্ধার করে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে নিহতের বড় ভাই ময়নুল হক বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ছাত্রলীগ কর্মী আজিজুর রহমান সম্রাটকে প্রধান করে ১০ জনের নামোল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাত আসামি আছেন আরও পাঁচ-ছয়জন। ঘটনার সিলেট জুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। খুনীদের ধরতে চিরুনি অভিযান শুরু করে র্যাব-পুলিশ। পরবর্তীতে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে কুটি মিয়াকে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ এবং সুনামগঞ্জ জেলার শান্তিগঞ্জ থানার নোয়াখালি বাজার এলাকার নুরপুর থেকে মিশু ও মনাকে র্যাব গ্রেফতার করে। তবে মূল অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা এখনও অধরা।