পুলিশি হয়রানি, নির্যাতন ও গাড়ি জব্দ করা বন্ধ করার দাবিতে রবিবার (২৩ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ১১টায় বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সিলেট জেলা শাখার অন্তর্ভুক্ত ‘রিক্সা-ইজিবাইক শ্রমিক সংঘ’ এর এক বিক্ষোভ মিছিল সংগঠনের ইসলামপুরস্থ (মেজরটিলা) কার্যালয়ে জমায়েত হয়ে মেজরটিলা বাজার অতিক্রম করে তামাবিল রোড হয়ে পুনরায় বাজারে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।
রিক্সা-ইজিবাইক শ্রমিক সংঘ মেজরটিলা আঞ্চলিক কমিটির আহবায়ক মোঃ সাইফুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে এবং উপদেষ্টা মন্ডলির সদস্য ইমদাদুল হক ইমন এর পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘের সহ-সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সরকার, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ছাদেক মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক নাজমুল হোসেন, যুগ্ম সম্পাদক রমজান আলী পটু, সিলেট জেলা হোটেল শ্রমিক ইউনিয়ন এর সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইমান আলী, রিক্সা-ইজিবাইক শ্রমিক সংঘের সদস্য মোঃ হাবিব, মোঃ রাসেল মিয়া, মোঃ বিপ্লব, অন্যতম নেতা মনা মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, অবিলম্বে পুলিশি হয়রানি, চাঁদাবাজি, স্থায়ী স্ট্যান্ড, জব্দকৃত গাড়ি ফেরত, রিক্সা ইজিবাইকের জন্য আলাদা লেন করা এবং আধুনিক যন্ত্র সম্বলিত রিক্সা ইজিবাইক না করে প্রচলিত রিক্সা ইজিবাইক বন্ধ করলে দেশের প্রায় ৪০ লক্ষাধিক ইজিবাইক চালক বেকার হবে যার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িয়ে আছে দুই থেকে আড়াই কোটি জনগণ। এদিকে বর্তমান বাজারদরের সাথে তাল রেখে একজন মানুষের জীবন নির্বাহ কঠিন হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে গ্যাস ও বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধির প্রস্তাব যা “মরার উপর খাড়া গাঁ” হয়ে দাঁড়ায়িছে, বক্তারা তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বক্তারা আরো বলেন, দেশে শিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে, তার সাথে পাল্লা দিয়ে হচ্ছে না কর্মসংস্থান। যার ফলে দেশের যুব সমাজ প্রতিনিয়ত নানা অপকর্মে জেনে না জেনে জড়িত হচ্ছে। তাই রিক্সা ইজিবাইক চালকদের বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না করে রিক্সা-ইজিবাইক বন্ধের যে হাইকোর্টের রিট তা প্রত্যাহার করার জোর দাবি জানান এবং সকল শ্রমিক ও নিম্ন আয়ের জনগণের জন্য রেশনিং ব্যাবস্থা চালু করার উদাত্ত আহবান জানান। বিজ্ঞপ্তি