আতিকুর রহমান মাহমুদ ছাতক থেকে :
ছাতকে বন্যা পরিস্থিতির ক্রম অবনতি ঘটেছে। থেমে-থেমে মুশলধারে বৃষ্টি হওয়ায় মানুষের মাঝে বিরাজ করছে আতংক। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ ঘর- বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় কেন্দ্রসহ বিভিন্ন উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে। কয়েক লক্ষ পানিবন্দী মানুষ দুর্বিষহ জীবন-যাপন করছে। পানি বন্দী মানুষের মাঝে সরকারী-বেসরকারী ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চললেও প্রয়োজনের তুলনায় তা অপ্রতুল।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ গোলাম কবিরের নেতৃত্বে রান্না করা খাবার ও শুকনো খাদ্যদ্রব্য বিতরণ করার খবর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া পৌর মেয়র আবুল কালাম চৌধুরীর ব্যক্তিগত অর্থায়নে শহরের বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে খিচুরী বিতরণ করা হয়েছে। শহরের প্রধান সড়কসহ অলি-গলি বানের পানি প্রবেশ করায় শহরের অধিকাংশ দোকান ও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। শহরের উপর দিয়ে চলাচল করছে ছোট-ছোট নৌকা। সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ছাতক-গোন্দিগঞ্জ-সিলেট, ছাতক-সুনামগঞ্জ, ছাতক-জাউয়া, ছাতক-দোয়ারা সড়কের বিভিন্ন এলাকা বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উপজেলা সদরের সাথে জেলা সদরসহ দেশের সকল অঞ্চলের সড়ক ও রেল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। প্রবল বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলের কারণে এখানে সুরমা, চেলা ও পিয়াইন নদীর পানি ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় এখানে প্রায় ১৬০ মি.মি. বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের দেয়া তথ্য মতে সুরমা নদীর পানি ছাতক পয়েন্টে বিপদসীমার প্রায় ১৮০ সে.মি উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। চেলা নদীর পানি বিপদসীমার প্রায় ১৮৫ সেন্টিমিটার এবং পিয়াইন নদীর পানি বিপদসীমার প্রায় ১৯৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবল বেগে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ গোলাম কবির জানান, বন্যার্তদের সহায়তা প্রদানে মেডিকেল টিমসহ সাধ্যমত সার্বিক ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।