স্টাফ রিপোর্টার :
আজ শনিবার মহাসপ্তমী পূজা। শঙ্খ-ধ্বনি, উলুধ্বনি আর নব পত্রিকায় প্রবেশের মধ্য দিয়ে শুরু হবে দেবী মহিষাসুর মর্দিনীর আরাধনা। দুর্গোৎসব চলাকালে পূজায় প্রতিদিনই অঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ বিতরণ ও ভোগ আরতির আয়োজন করেছে প্রতিটি পূজা মন্ডপগুলো। এছাড়া মন্ডপে মন্ডপে আলোকসজ্জা, আরতি প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ধর্মসভা, আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। নগরীর পূজামন্ডপগুলো বর্ণিল সাজে সাজানোও হয়েছে।
হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা শুরু হয় গতকাল শুক্রবার থেকে। সন্ধ্যায় মহাষষ্ঠীর মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া পূজা আগামী মঙ্গলবার দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
পূজা উদযাপন পরিষদ সূত্রে জানা গেছে, নগরীতে এবার ৬৬টি মন্ডপে পূজা উদযাপন করা করা হবে। তন্মধ্যে ৫১টি মন্ডপ সর্বজনীন, ১৫টি পারিবারিক। এর মধ্যে উল্লে¬খযোগ্য নগরীর নাইওরপুল এলাকার রামকৃষ্ণ মিশন, বলরাম জিউড় আখড়া, দাড়িয়াপাড়ার চৈতালী সংঘ, ঝুমকা সংঘ, সনাতন যুব ফোরাম, জিন্দাবাজার, জল্ল¬ারপারের সত্যম শিবম সুন্দরম, মাছুদিঘিরপারের ত্রিনয়নী, মণিপুরী রাজবাড়ি, লামাবাজার তিন মন্দির, কাজলশাহ, মিরের ময়দান, জামতলা, তোপখানা, মাছিমপুর মণিপুরী পাড়া, মাছিমপুর কুরিপাড়া, চালিবন্দর, যতরপুর, মিরাবাজার, রায়নগর, সোনাতুলা, গোপালটিলা, দুর্গাবাড়ি, বালুচর, আম্বরখানা, করেরপাড়া, পনিটুলা, আখালিয়া কালিবাড়ি, শেখঘাট, গোটাটিকর, শিববাড়ী, কিষণপুর, পৈত্যপাড়ার কালিবাড়ী, জৈনপুর পূজামন্ডপগুলো বর্ণিল সাজে সাজানো হয়েছে।
এবার জেলার ১৩টি উপজেলায় মন্ডপ আছে ৫৪২টি। তন্মধ্যে সর্বজনীন ৫০৩টি, পারিবারিক ৩৯টি মন্ডপে পূজা উদযাপিত হচ্ছে। এদিকে, দুর্গাপূজাকে ঘিরে নগরীজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় রেখেছে আইনশৃৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।
মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার জেদান আল মুসা জানান, পূজা উৎসবকে নির্বিঘœ করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।