স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজারস্থ মোহাম্মদপুর এ গফুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হালিমা খাতুন মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন।
জানা গেছে, হালিমা খাতুন গত সোমবার বিদ্যালয়ে জাতীয় শোক দিবস পালন শেষে বাসায় ফেরার পথে সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ সড়কের দক্ষিণ সুরমার জলকরকান্দি কোনারচর কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় মারাত্মকভাবে আহত হন। পরে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল পৌনে এগারোটায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় একই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মিঠন চন্দ্র দাসও আহত হন। মিঠন চন্দ্র দাস ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে গতকালই ছাড়পত্র নিয়ে বাড়িতে আছেন।
বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সভাপতি নাছির মাহমুদ জানান, নিহতের লাশ ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ তার গ্রামের বাড়ি দক্ষিণ সুরমার কুচাই নোয়াগ্রামে নেওয়া হবে। নিহত শিক্ষিকা হালিমা খাতুন ২ সন্তানের জননী ছিলেন।
নিহতের ছোট বোনের জামাই নিজামুল কবির লিটন জানান, সোমবার বিদ্যালয়ে শোক দিবসের অনুষ্ঠান শেষে তিনি মোটর সাইকেল যোগে বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে পারাইচক এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হলে তিনিসহ চালক সহকর্মী শিক্ষক মিটন দাস আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করান। গতকাল মঙ্গলবার সকাল পৌনে ১১ টার দিকে হালিমা বেগম মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। লিটন জানান, তারা ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ বাড়িতে নেয়ার প্রক্রিয়া চালাচ্ছেন।
এদিকে, মোহাম্মদপুর এ গফুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা হালিমা খাতুনের মর্মান্তিক মৃত্যুতে দক্ষিণ সুরমা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুসরাত লায়লা নীরা, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মহিউদ্দিন আহমদ, মোগলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফখরুল ইসলাম সাইস্তা, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি চঞ্চল মাহমুদ ফুলর, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি দক্ষিণ সুরমা উপজেলার সভাপতি নাছির মাহমুদ গভীর শোক প্রকাশ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারবর্গের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।