গোলাপগঞ্জে পুলিশের সাথে ডাকতদলের গোলাগুলি, অস্ত্র-সহ ডাকাত সর্দার মান্নান গ্রেফতার

17

গোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জে পুলিশের সাথে ডাকাতদলের গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। গত বুধবার রাতে ৩টায় উপজেলার রানাপিং তহিপুরে এ গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। ডাকতদলের হামলায় ৩ পুলিশ ও ডাকাত সর্দার মান্নান আহত হয়। এর আগে বুধবার বিকেল উপজেলার বাঘা ইউনিয়নের উত্তর গোলাপনগর নিজ গ্রাম থেকে ডাকাত সর্দার আব্দুল মান্নান(৪০)কে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তাকে থানায় নিয়ে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে গোলপগঞ্জ সহ সিলেটের বিভিন্ন জায়গায় একাধিক ডাকাতির কথা স্বীকার করে। ডাকাত মান্নানের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে গত বুধবার গভীর রাত ৩টারদিকে ডাকাত সর্দার মান্নানকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধার অভিযানে বের হয় পুলিশ। তারা উপজেলার রানাপিং তহিপুরস্থ একটি ব্রিকফিল্ডের সামনে পৌছলে পূর্ব থেকে উৎ পেতে থাকা তার সহযোগিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশ আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। গোলাগুলিতে গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশের এসআই পিন্টু সরকার, কনস্টেবল মাছুম মিয়া, রকি কাজী এবং ডাকাত সর্দার আব্দুল মান্নান গুলিবিদ্ধ হয়। গোলাগুলির এক পর্র্যায়ে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে ডাকাতদের ফেলে যাওয়া একটি দেশীয় পাইপগান, দুই রাউন্ডি কার্তুজ ও দুটি রামদা উদ্ধার করা হয়। আহত পুলিশ সদস্যদের গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। ডান পায়ে গুলিবিদ্ধ ডাকাত মান্নানকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। গোলাপগঞ্জ সার্কেল এএসপি রাশেদুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান, ওসি তদন্ত আবুল কাশেম, এসআই পিন্টু সরকারসহ একদল পুলিশ অভিযানে অংশ নেয়। এ ঘটনায় গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় পুলিশ এসল্ট(নং-২৭) ও অস্ত্র আইনে (নং-২৮) পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে পুলিশ জানায়। গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমান জানান, ডাকাত আব্দুল মান্নানের বিরুদ্ধে গোলাপগঞ্জ মডেল থানাসহ সিলেট সদর, কানাইঘাটসহ বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, অস্ত্র মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।