স্টাফ রিপোর্টার
সিলেট সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে নতুন করে যে গৃহকর নির্ধারণ করা হয়েছে তা স্থগিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন সিসিকের সাবেক মেয়র মো. আরিফুল হক চৌধুরী। বৃহস্পতিবার বিকেলে নিজ বাসভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ অনুরোধ জানান তিনি।
সম্প্রতি নগরীর প্রায় পৌনে এক লাখ ভবনমালিকের গৃহকর ৫ থেকে ৫০০ গুণ পর্যন্ত বাড়িয়েছে সিটি করপোরেশন। গত ৩০ এপ্রিল থেকে সিটি করপোরেশন নতুন নির্ধারিত গৃহকর অনুযায়ী ভবনমালিকদের গৃহকর পরিশোধের নোটিশ দেওয়া শুরু করে। নতুন গৃহকরে আবাসিক ভবনের প্রতি বর্গফুট পাঁচ টাকা ও বাণিজ্যিক ভবনের প্রতি বর্গফুটের জন্য আট টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
একলাফে অসহনীয়ভাবে গৃহকর বৃদ্ধিতে বিপাকে পড়েছেন ভবনমালিকেরা। এ নিয়ে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ ও অসন্তোষ। নগরবাসী দ্রæত এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের দাবি তুলেছে।
নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, নতুন গৃহকর সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর মেয়াদকালেই নির্ধারণ করা হয়। বর্তমান পরিষদ তা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। এমন আলোচনার প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলনে আসেন আরিফুল হক।
বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্সের বিষয়ে তার উপর আনিত অভিযোগ প্রসঙ্গে আরিফুল হক বলেন, সিটি করপোরেশনে তার মেয়াদে নতুন করে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তবে করোনা পরিস্থিতি, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি বিবেচনা করে সেটা আর বাস্তবায়ন করা হয়নি। স্থগিত করা হয়েছিল। তাই তার উপর আনীত অভিযোগকে একটি ভুল বোঝাবুঝি উল্লেখ করে আরিফ নতুন পরিষদকে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সাথে বসে হোল্ডিং ট্যাক্স সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসার আহবান জানান।
এসময় সাবেক মেয়র বলেন, হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর আগে সেবাগ্রহীতাদের সাথে আলাপ করা উচিত ছিল। সেক্ষেত্রে গণশুনানি করে হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া যথার্থ হতো। তাই বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় বর্ধিত হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় স্থগিত করা উচিত।
এ প্রসঙ্গে নতুন পরিষদের কর্মকর্তাদের অদক্ষতার উপর আঙুল তুলে সাবেক মেয়র বলেন, নতুন মেয়রকে সঠিকভাবে পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন না সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা। যার ফলে উদ্ভুত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নগরীর উন্নয়নের জন্য হোল্ডিং ট্যাক্স আদায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বলেও জানান আরিফুল হক চৌধুরী।