মো.শাহজাহান মিয়া জগন্নাথপুর থেকে :
জগন্নাথপুরে এবার দেশিয় টক-মিষ্টি সুস্বাদু বড়ইয়ের ভালো ফলন হয়েছে। এতে হাসির ঝলক ফুটে উঠেছে গাছের মালিকদের মুখে। উপজেলার প্রতিটি বাড়িতে কম-বেশি বড়ই গাছ রয়েছে। অন্য বছরের তুলনায় এবার বড়ইয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। গাছে-গাছে ঝুলছে বড়ইয়ের ডাল। যদিও এখনো পুরোপুরি বরই পাকেনি। আরো কয়েক দিন পর বড়ই পাকতে শুরু করবে। তবে বড়ইয়ের বাম্পার ফলন দেখে মানুষের মনে আনন্দ জেগেছে। এবার পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বড়ই বাজারে বিক্রি করা যাবে। এছাড়া দেশিয় টক-মিষ্টি বড়ইয়ের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। বাজারে উঠা মাত্র নিমিষে শেষ হয়ে যায়। ক্রেতারা লাইনে দাঁড়িয়ে দেশি বড়ই কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। এর কারণ হিসেবে স্থানীয়রা জানান, দেশি বড়ই খুবই সুস্বাদু। এ বড়ই সবাই খেতে পছন্দ করেন। বিশেষ করে নারী ও শিশুরা। যে কারণে দেশি বড়ইয়ের কদর বেশি। এ বড়ইয়ে নেই কোন ফরমালিন। গাছ থেকে পেরে বাজারে নিয়ে আসছেন অনেক মালিক। অনেকে আবার নিজ গাছের বড়ই বিক্রি করে সংসার চালাচ্ছেন। যদিও বাজারে অনেক ধরণের মিষ্টি বরই থাকলেও ক্রেতাদের চাহিদা দেশিয় সেই টক-মিষ্টি বরই। তবে বাজারে দেশি বড়ইয়ের দাম খুবই চড়া। তবুও ক্রেতাদের কোন অভিযোগ নেই। বাজারে পাকা সুস্বাদু বরই দেখলেই কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছেন ক্রেতারা।
২৬ জানুয়ারি রবিবার সরজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন মানুষের বাড়িতে দেশিয় বড়ইয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। গাছে-গাছে ঝুলছে পাকা-আধা পাকা বড়ইয়ের ডাল। এছাড়া জগন্নাথপুর সদর বাজারে চড়া দামে দেশিয় বড়ই কিনে নিচ্ছেন ক্রেতারা।
এ ব্যাপারে জগন্নাথপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদার বলেন, প্রকৃতি অনুকূলে থাকায় ও আমাদের পরামর্শে সঠিক পরিচর্চা করায় জগন্নাথপুরে এবার দেশি বড়ইয়ের বাম্পার ফলন হয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি দেশি বড়ই গাছে কলমের মাধ্যমে উন্নত জাতের বড়ইয়ের বিস্তার ঘটানো। যাতে বাণিজ্যিক ভাবে বড়ই চাষে আগ্রহী হন কৃষক ও মালিকরা। এতে দেশি বড়ইয়ের চাহিদা মিটিয়ে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবেন মানুষ।