সিলেট শহর ও শহরতলী এলাকায় অবাধে বর্জ্য ফেলে সুরমা নদীর পানি দূষিত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে সিলেট নগরী সংলগ্ন সুরমা নদীর সাড়ে ৭ কিলোমিটার এলাকায় সুরমার পানির পি-এইচ লেভেল আশঙ্কাজনক মাত্রায় পৌছেছে। সুরমা নদীতে পয়ঃনিষ্কাশন বন্ধ করা এবং অবাধে বিভিন্ন ক্যামিকেল ও পলিথিন বজ্য ফেলা বন্ধ করা না হলে সুরমা নদী অচিরেই রাজধানীর বুড়িগঙ্গার মত মৃত নদীতে পরিণত হতে পারে। বৃহত্তর সিলেটের প্রাণ সুরমা নদীর দুষণ রোধে এখনই কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।
গত বুধবার সিলেটের জেলা প্রশাসকের কাছে দেয়া এক স্মারকলিপিতে এ দাবী জানিয়েছে মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় নিবেদিত আইনজীবীদের সংগঠন হিউম্যান রাইট্স এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি), সিলেট শাখা।
এইচআরপিবি, সিলেট শাখার সভাপতি, সিনিয়র এডভোকেট আব্দুল হাই কাইয়ুম এবং সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র সাংবাদিক ও আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ তাজ উদ্দিনের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বুধবার দুপুরে সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলামের সাথে সাক্ষাৎ করে সুরমা নদীর দূষণের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক কাজী এমদাদুল ইসলাম সুরমা নদীর দূষণ বন্ধে জেলা প্রশাসনের গৃহিত বিভিন্ন পদক্ষেপের বিবরণ দেন এবং এ বিষয়ে সিলেট নগর কর্তৃপক্ষ, পরিবেশ অধিদপ্তর এবং পানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করার তাগিদ দেন।
পরে সংগঠনের নেতৃবৃন্দ সুরমা নদীর দূষণ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানিয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে একটি স্মারকলিপি হস্তান্ত করেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন হিউম্যান রাইট্স এন্ড পিস ফর বাংলাদেশ, সিলেট শাখার কার্যকরি কমিটির সদস্য এডভোকেট বিশ্বনাথ ঘোষ, এডভোকেট খালেদ জুবায়ের,্ এডভোকেট খোরশেদ আলম, এডভোকেট মকসুদ আহমদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি