নিজ ঘরে অভিযান শেষ হলে বিএনপির দুর্নীতিবাজদের ধরা হবে -ওবায়দুল কাদের

8

কাজিরবাজার ডেস্ক :
শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়ে গেছে। নিজ ঘরে অভিযান শেষ হলে বিএনপির দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে অনুরূপ অভিযান চলবে। এ শুদ্ধি অভিযান শুধু আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে নয়, সবার বিরুদ্ধে চালানো হবে। বিএনপির দুর্নীতিবাজরা কে কি করেছেন, কোথায় বসে কি অপকর্ম করেছেন- সবকিছুর খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। সময়মতো টের পাওয়া যাবে। প্রধানমন্ত্রী নিজের ঘর শেষ করে অপরগুলো ধরবেন। জালে সবার অপরাধ ধরা পড়বে। অপকর্মকারীরা সাবধান হয়ে যান। চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা সাবধান। শেখ হাসিনা ডাইরেক্ট এ্যাকশনে।
রবিবার দুপুরে একটি কমিউনিটি সেন্টারে চট্টগ্রাম বিভাগীয় ৬ সাংগঠনিক জেলার প্রতিনিধি সমাবেশে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের একথা বলেন। সাংগঠনিক জেলাগুলো হচ্ছে চট্টগ্রাম মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ, রাঙ্গামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি। প্রতিনিধি সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক হানিফ। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, রাঙ্গামাটি জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি দীপংকর তালুকদার, প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুস সালাম। সভায় সভাপতিত্ব করেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি মোসলেম উদ্দিন আহমদ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বঙ্গবন্ধু নেই আওয়ামী লীগ আছে। ঝড়, দুর্যোগ, অন্ধকার, অমানিশার বিরুদ্ধে সাহস নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার নাম আওয়ামী লীগ। আমরা মৃত্যুর মিছিলে দাঁড়িয়ে বিজয়ের জয়গান গাই। আমরা ধংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়ে সৃষ্টির পতাকা ওড়াই। আমরা আওয়ামী লীগ, আমরা উত্তাল সমুদ্রের অমানিশার অন্ধকারেও মানুষের জয়গান গাই। বীরের রক্ত ছুঁয়ে এগিয়ে যাই। মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি, মাদক, সন্ত্রাস, টেন্ডারবাজি, ভূমি দখলবাজমুক্ত বাংলাদেশ বিনির্মাণে শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছেন। আগে তিনি নিজের দল পরিষ্কার করছেন। তারপর শুরু করবেন বাইরে। দুর্নীতিবাজ, টেন্ডারবাজ, ভূমিদস্যু, মাদকজীবী যে দল, সংগঠন বা যে পরিচয়ের হোক না কেন এ বিষয়ে শেখ হাসিনার অবস্থান সুস্পষ্ট। নিজের দলীয় লোকদের শায়েস্তা করার সৎ সাহস যার আছে তিনি শেখ হাসিনা। বিএনপির সমালোচনা করে মন্ত্রী বলেন, ফখরুল সাহেবরা বড় বড় কথা বলেন। অথচ তারা পর পর পাঁচবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। তাদের কথা ভূতের মুখে রাম নাম। এ বিএনপিই দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলে। লুটপাটের হাওয়া ভবন না খাওয়া ভবন- দেশের মানুষ ভুলে যায়নি। লন্ডনে টেমস নদীর পাশে বসে একজন দেশকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে, দেশের রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করছে। সেতুমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভিশন-২০২১, ২০৪১ এবং ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ জিডিপিতে আজ সবার শীর্ষে যেতে পারার কারণ শেখ হাসিনার নেতৃত্ব। আওয়ামী লীগ কখনও পরাজয় মানে না, পরাভব মানে না। ধ্বংসের বেদিমূলে দাঁড়িয়ে সৃষ্টি সুখের উল্লাসে উল্লসিত হওয়া আওয়ামী লীগের প্রবৃত্তি। চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ প্রসঙ্গ তুলে ধরে তিনি বলেন, এখানে মূল সমস্যা অন্তর্কলহ অনেকাংশে প্রশমিত। তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কোন ঘটনা ঘটিয়ে প্রতিপক্ষের হাতে ইস্যু তুলে না দেয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, ক্ষমতার দাফট দেখাবেন না। ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। যখন ক্ষমতা থাকবে না তখন কোথায় পালাবেন। তাই নেতাকর্মীদের পাশে থাকুন। উন্নয়নের সঙ্গে সমন্বয় না হলে কখনও সফলতা আসে না।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আওয়ামী লীগ কর্মীদের দল, নেতাদের দল নয়। দলে যেসব ছারপোকা, উইপোকা ঢুকেছে আগামী সম্মেলনকে সামনে রেখে এদের সকলকে বাদ দিতে হবে।