কাজিরবাজার ডেস্ক :
শত শত নারী-পুরুষ দলবেঁধে আসছে সৌদি আরব থেকে। ইচ্ছার বিরুদ্ধে তাদের জোরপূর্বক ফেরত পাঠানো হচ্ছে। শনিবার রাতে আরও ১৭৩ জন কর্মী দেশে ফেরত এসেছেন। এ নিয়ে গত চব্বিশ ঘণ্টয় সৌদি আরব থেকে ফিরেছেন মোট ৩৭৩ জন কর্মী। শুক্রবার রাতেও ২০০ জন কর্মী দেশে ফেরত আসেন। এ নিয়ে চলতি বছর প্রায় ১৮ হাজার বাংলাদেশী সৌদি আরব থেকে ফেরত এলো। চলতি সপ্তাহে আরও কয়েকশত শ্রমিককে ফেরত পাঠানোর বিষয়টি প্রক্রিয়া চলছে।
শনিবার রাতে দেশে ফেরা কর্মীদের মধ্যে ছিলেন একই পরিবারের দুই ভাই নড়াইলের নয়ন ও শুক্কুর মোল্লা। এর মধ্যে নয়ন চার বছর আগে সৌদি গিয়েছিলেন রং মিস্ত্রির কাজ নিয়ে। মাত্র দুই মাস আগে ছোট ভাই শুক্কুর মোল্লাকে একই কাজে নিয়ে যান তিনি। কিন্তু দুজনকেই শূন্য হাতে গতকাল দেশে ফিরতে হয়েছে। নয়নের অভিযোগ, ছোট ভাই বাজার করতে বের হলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। এই খবর শুনে ছুটে যান তিনি। কিন্তু তার কোন কথা শোনেনি সে দেশের পুলিশ। তাদের দুইজনকেই দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে পুলিশ।
ভোলার ফুয়াদ হোসেন দুই বছর আগে ছয় লাখ টাকা খরচ করে ফ্রি ভিসার নামে পাড়ি জমান সৌদিতে। তিনি বলেন, বৈধ আকামা থাকার পরেও তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে কথা বললে তাকে দূতাবাস থেকে বলা হয়েছে, ‘আপনারা এভাবে আসেন কেন? যেভাবে আসছেন সেভাবেই সমাধান করেন। কিশোরগঞ্জের শোয়েব হোসেন ১০ বছর ধরে সৌদি আরবে ব্যবসা করে আসছিলেন। তিনি বলেন, তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ১ লাখ ৮০ হাজার রিয়ালের সমপরিমাণ পণ্যসামগ্রী ছিল। তার আকামার মেয়াদও ছিল দুই মাস কিন্তু কোন কিছুই তাকে রক্ষা করতে পারেনি। সৌদিতে সব সম্পদ ফেলে শূন্য হাতে দেশে ফিরতে হলো তাকে।