অনন্ত বিজয় দাশ হত্যার বিচার বিশেষ ট্রাইব্যুনাল করার দাবি

15

উগ্রবাদীদের হাতে খুন হওয়া বিজ্ঞান লেখক অনন্ত বিজয় দাশ হত্যার দাবি বিশেষ ট্রাইব্যুনালে করার দাবি জানিয়েছেন তাঁর সহযোদ্ধা ও সুহৃদরা। অনন্ত হত্যার চার বছর পূর্তিতে স্মরণ অনুষ্ঠানে এ দাবি ওঠে।
রবিবার হত্যার চার বছল পূর্ণ হয়। এদিন দুপুরে সিলেট নগরীর সুবিদ বাজারে অনন্ত বিজয় দাশ স্মরণে স্মৃতিন্তম্ভে পুষ্পন্তবক অর্পন ও ‘অনন্ত স্মরণ’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা। ২০১৫ সালেল ১২ মে সুবিদ বাজারের দন্তিদার দীঘির পারে কুপিয়ে হত্যা করা হয় গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক অনন্ত বিজয় দাসকে। অনন্ত’র বাসাও ওই এলাকায়।
যে জায়গায় অনন্ত বিজয় দাসকে হত্যা করা হয় সেই স্থানেই অকাল প্রয়াত যুব সংগঠন মঈনুদ্দিন আহমদ জালালের উদ্যোগে স্থাপন করা হয় অনন্ত স্মৃতি ন্তম্ভ।
রবিবার ওই স্মৃতিন্তম্ভের পাশে আয়োজিত অনন্ত স্মরণ অনুষ্ঠানে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয় মঈনুদ্দিন আহমদ জালালকেও।
রবিবার দুপুরে প্রথমে বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে অনন্তের স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় গণজাগরণ মঞ্চ, সিলেট, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেট, বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি, সিলেট জেলা শাখা, বাসদ, সিলেট জেলা শাখা, নগরনাটসহ বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হ। ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান অনন্ত বিজয় দাশের স্মৃতিন্তম্ভের উদ্যোক্তারা। এরপর দাঁড়িয়ে অনন্ত’র স্মৃতির উদ্যোশ্যে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়।
পরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তারা চার বছরেও অনন্ত হত্যার বিচার কাজ শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বিশেষ ট্রাইব্যুনালের মাধ্যমে এই হত্যাকান্ডের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করার দাবি জানান। বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিবাদকে সমূলে উৎপাটন করতে হলে এই হত্যাকান্ডের নেপথ্যে যারা রয়েছে তাদের খুঁজে বের করে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
বক্তারা বলেন, অনন্ত তাঁর লেখালেখির মাধ্যমে একটি উদার, মুক্তমনা ও বিজ্ঞানভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণের চেষ্টা করে গেছেন। আমরা সবাই যদি অনন্ত’র অসমান্ত লড়াই চালিয়ে যেতে উদ্যোগী হই তবেই অনন্তর প্রতি সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। একটি উদার ও অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠনে আমাদের সবাইকে কাজ করে যেতে হবে।
এছাড়া অনন্তর সম্পাদনায় প্রকাশিত ছোটকাগজ ‘যুক্তি’র প্রকাশনা অব্যাহত রাখার দাবি জানান বক্তারা।
গণজাগরণ মঞ্চ, সিলেটের মুখপাত্র দেবাশীষ দেবু’র সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন অনন্ত’র স্মৃতিন্তম্ভ নির্মানের অন্যতম উদ্যোক্তা ও সিটি কাউন্সিলর রেজওয়ান আহমদ, সম্মিলিত নাট্য পরিষদ, সিলেটের সভাপতি মিশফাক আহমদ মিশু ও সাধারণ সম্পাদক রজতকান্তি গুপ্ত, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল করিম কিম, সিপিবি সিলেটের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন সুমন, বাসদ সিলেটের সমন্বয়ক আবু জাফর, নারী মুক্তি কাউন্সিলের সভাপতি ইন্দ্রানী সেন শম্পা, ডা. এনাম আহমদ, গণজাগরণ মঞ্চের সংগঠক রাজীব রাসেল, দেবোজোতি দেবু, নগরনাট’র অরুপ বাউল, ছাত্রফ্রন্টের রুবাইয়াত আহমদ, ছাত্র ইউনিয়ন সিলেটের সাধারণ সম্পাদক নাবিল এইচ চৌধুরী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি