স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমায় অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে সিটি করপোরেশন (সিসিক)। প্রায় ৩দিন বন্ধ থাকার পর গতকাল সোমবার সকালে দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশীদ চত্ত্বর থেকে শিববাড়ি এলাকার বন্দরঘাট পর্যন্ত এই অভিযান চালানো হয়। অভিযান চলে সন্ধ্যা পর্যন্ত।
মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযানে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সার্ভেয়ার ও বিপূল সংখ্যক পুলিশ সদস্য অংশ নেন। অভিযানে অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে সরকারি জমি উদ্ধার করা হয়।
সিসিক সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ সুরমা এলাকায় বিভিন্ন স্থানে সরকারি জমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করা হয়েছে। অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে দখলদারদের একাধিকবার নোটিশ প্রদান করে সিসিক। তবে তাতে কর্ণপাত না করায় সোমবার অভিযানে নামেন মেয়র আরিফ।
উদ্ধার অভিযান শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সরকারি জায়গা দখল করে দোকানপাট, বস্তি গড়ে তোলা হয়েছে। আমরা এই জায়গা দখলমুক্ত করতে অভিযান চালিয়ে অর্ধশতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করতে পেরেছি। প্রায় দুই যুগেরও বেশী সময় থেকে সরকারি এসব ভূমি দখল করে ভবন, কাঁচা-পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে ব্যবসা-বানিজ্য করে আসছিল একটি প্রভাবশালী চক্র। বর্ষা মৌসুমে ২৭নং ওয়ার্ডবাসীকে জলাবদ্ধতার হাত থেকে রক্ষা করতে ড্রেনের উপর নির্মিত এসব অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রভাবশালী চক্র যতই ক্ষমতাশালী হউক না কেন কোন ছাড় দেয়া হবে না। তিনি বলেন, অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শেষে ২৭নং ওয়ার্ডের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ড্রেনের কাজ শুরু হবে। ফলে বর্ষা মৌসুমে দক্ষিণ সুরমার ২৭, ২৬ ও ২৫নং ওয়ার্ডে কোন ধরণের জলাবদ্ধতা থাকবে না।
অভিযানকালে ২৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আজম খান, ২৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌওফিক বক্স লিপন, ২৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাকবিরুল ইসলাম পিন্টু, সিসিকের চীফ প্রকৌশলী নুর আজিজুর রহমান, এসএমপি পুলিশের অতিরিক্ত উপ কমিশনার (ট্রাফিক) নিকুলিন চাকমা, সিসিকের সহকারী প্রকৌশলী জয়দেব বিশ্বাস, উপসহকারী প্রকৌশলী তামিম আহমদসহ সিসিকের অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য উপস্থিত ছিলেন।