স্টাফ রিপোর্টার :
খোলা নর্দমা, নোংরা আবর্জনার মধ্যে দই ও মিষ্টান্ন জাতীয় খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুত ও মজুদের অপরাধে অভিজাত কনফেকশনারী রাজমহলকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশন পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত। এছাড়াও রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের জমি অবৈধভাবে দখল করে নির্মিত কারখানা ভবনের একাংশ গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুরের দিকে মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে এই জরিমানা আদায় করা হয়। এসময় প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজার উচ্চবাচ্য করার চেষ্টা করলে স্থানীয়রা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও কর্মকর্তাদের পক্ষে অবস্থান নেন এবং তীব্র প্রতিবাদ করেন।
অভিযানে উপস্থিত সিসিক’র সাথে ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র জানিয়েছে, সকাল ১০টায় দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশীদ চত্বর থেকে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ শুরু করেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। সিলেট-ফেঞ্চুগঞ্জ রোড হয়ে শিবাবাড়ি এলাকায় পৌঁছালে তথাকথিত অভিজাত খাদ্যদ্রব্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রাজমহল শিববাড়ি শাখার নোংরা পরিবেশ তাদের চোখে পড়ে।
দেখা যায়, নোংরা আবর্জনা, খোলা নদর্মার পাশেই নানা ধরণের মিষ্টান্ন তৈরি ও মজুত করা হচ্ছে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি। এ সময় মেয়র প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তাদের কাছে জঘন্য পরিবেশে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদনের কারণ জানতে চাইলে ম্যানেজার উচ্চবাচ্য শুরু করেন। উপস্থিত স্থানীয়রা ম্যানেজারের বক্তব্যের প্রতিবাদ শুরু করলে অপ্রীতিকর পরিবেশ সৃষ্টির উপক্রম হয়। পরে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় অভিজাত কনফেকশনারী রাজমহল ফ্যাক্টরীকে। এছাড়া অভিযানের সময় তথাকথিত অভিজাত এই প্রতিষ্ঠানটির ভবনের বড় একটি অংশ রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের জমি অবৈধভাবে দখল করে গড়েতোলার বিষয়টিও ধরা পড়ে। মেয়র তাৎক্ষনিকভাবে একটি অংশ ভেঙে ফেলেন। এরপর রাজমহল কর্তৃপক্ষ এলাকার গণ্যমান্যদের নিয়ে এসে তার মালপত্র সরানো ও সার্ভের জন্য সময় চাইলে আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টা পর্যন্ত তাদের সময় বেঁধে দেওয়া হয়।
সিসিক সূত্র জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টায় সিসিক, জেলা প্রশাসন, স্যাটেলমেন্ট ও রাজমহল কর্তৃপক্ষের সার্ভেয়ার দিয়ে জরিপ কাজ শেষে রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের দখলকৃত জমি উদ্ধার ও অবৈধ স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। অভিযান জরিমনা ও স্থাপনা ভেঙে দেওয়ার বিষয়গুলো নিশ্চিত করেছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের গণসংযোগ কর্মকর্তা শাহাব উদ্দিন শিহাব।