স্টাফ রিপোর্টার :
নো বিসিএস, নো ক্যাডার’র ব্যানারে সিলেটে ২৯টি সরকারী কলেজের শিক্ষকদের ২দিন ব্যাপী কর্মবিরতি শুরু করেছে। গতকাল সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন শিক্ষকরা। ফলে একাদশ শ্রেণীর অর্ধ বার্ষিক পরীক্ষা, দ্বাদশ শ্রেণীর নির্বাচনী পরিক্ষা, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিগ্রী ২য় বর্ষের পরিক্ষা ও অর্নাস ৩য় বর্ষের বিশেষ পরীক্ষা হয়নি এ সকল কলেজে। তাই যথাসময়ে কলেজ ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়েও পরীক্ষা দিতে পারেনি সাধারণ পরীক্ষার্থীরা।
বি.সি.এস সাধারণ শিক্ষা সমিতি সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শাব্বীর আহমদ জানান, নতুন জাতীয়করণকৃত শিক্ষকদের ক্যাডার বহির্ভূত রাখাই আমাদের মূল দাবি। তিনি আরো জানান, জাতীয় শিক্ষা নীতি ২০১০এর আলোকে বিসিএস এর মাধ্যমে নিয়োগ প্রাপ্ত ক্যাডার সদস্যদের স্বার্থ সংরক্ষণ করার দাবীতে বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতির কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচি হিসেবে গতকাল রবিবার ও আজ সোমবার সকল সরকারী কলেজ, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর’র শিক্ষা ক্যাডারের শিক্ষকরা এ কর্মসূচী পালন করবেন।
শাব্বীর আহমদ আরো বলেন, যে সকল কলেজ জাতীয় করণ করা হয়েছে সেই সকল কলেজের শিক্ষকদেরকে যদি বিসিএস ক্যাডার করা হয়। তাহলে যারা অনেক কষ্ট করে বিভিন্ন পরীক্ষা দিয়ে বিসিএস ক্যাডার ভূক্ত হয়েছে তাদের আর কোন মান থাকবে না। তাই জাতীয়করণকৃতে কলেজের শিক্ষকদেরকে নন ক্যাডারভূক্ত রাখাই আমাদের প্রাণের দাবী।
এদিকে, নো ক্যাডার নো বিসিএস এর দাবীতে কর্মবিরতিসহ নানা কর্মসূচী পালন করেছে সিলেট সরকারী মহিলা কলেজ বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি। কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সরকারী মহিলা কলেজের ইংরেজী বিভাগের প্রধান প্রফেসর শফিউল আলম, বাংলা বিভাগের প্রধান প্রফেসর নীলিমা চন্দ, সমাজকর্ম বিভাগের প্রধান জামালুর রহমান, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সমিতি সিলেট সরকারী মহিলা কলেজ ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান।
অপরদিকে, সিলেট সরকারী কলেজ, এমসি কলেজসহ বিভিন্ন উপজেলার সরকারী কলেজ’র বিসিএস ক্যাডারের শিক্ষকরাও এ কর্মসূচী পালন করেন।
এ বিষয়ে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের কয়েকজন শিক্ষক জানান, আমরা অনেক জটিলতা পেরিয়ে, পরীক্ষা দিয়ে পাস করে তারপর ক্যাডারভূক্ত হয়েছি। আর তারা এমনি এমনি যদি ক্যাডারভূক্ত হয়ে যান, সমান মর্যাদা সুযোগ-সুবিধা পেয়ে যান। তাহলে সেটা অবিচারের পর্যায়ে চলে যায়না? আমরা স্বতন্ত্র বিধি চাই, নইলে আরও জটিলতা সৃষ্টির পাশাপাশি আত্মহুতির ঘটনাও ঘটতে পারে।