স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর অধিকাংশ সড়ক ভাঙ্গা-চোরা ও গর্ত। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন লোকজন। যেন দেখার কেউ নেই। এসব গর্তে গাড়ী পড়ে প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ফলে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ীতে চলতে হয় তাদেরকে। এসব রাস্তা মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্টরা এখন উদাসীন।
নগরী ঘুরে দেখা গেছে, কোর্ট পয়েন্ট থেকে সোবহানীঘাট, সোবহানীঘাট থেকে শাহজালাল উপশহর পয়েন্ট, পুলিশ লাইন পয়েন্ট হয়ে মীরের ময়দান-সুবিদবাজার পয়েন্ট, দক্ষিণ সুরমা কীন ব্রীজের মুখ থেকে চন্ডিপুল, চাঁদনীঘাট হয়ে কদমতলী, কদমতলী থেকে হুমায়ুন রশীদ চত্বর, পুলের থেকে কেন্দ্রীয় বাস টারমিনাল সড়ক হয়ে কদমতলী সড়ক। এসব সড়কের বেহাল অবস্থা। চালকরা যাত্রীবাহী গাড়ী নিয়ে ঝুঁকিতে এসব রাস্তা চলতে হয়। গর্তে গাড়ী পড়ে উল্টে গিয়ে অনেক সময় দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে যাত্রীরা। এতে গাড়ীও নষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত।
সুরমা পয়েন্টের এক সিএনজি অটোরিক্্রা চালক জানালেন, ভাই কি বলবো টুকেরবাজার যেতে হয় প্রতিদিন। এ রাস্তার যে অবস্থা তা প্রতিমাসে ৩ বার গাড়ী মেরামত করতে হয়। তাছাড়া ঝুঁকি নিয়ে যাত্রীদের গন্তব্য স্থানে নিয়ে যেতে হয়। ৬ মাস আগে যে রাস্তা মেরামত করে দেয়া হয় সে রাস্তা ৬ মাস পূর্ণ হবার আগেই সড়কের খোসা উঠে গিয়ে গর্ত হয়। এসব গর্তে পানি জমে আরো বড় হয়। ফলে এমন রাস্তা দিয়ে গাড়ী চালানো ঝুঁকি হয়ে গেছে। যদি এসব রাস্তা টেকসই মতো নিয়ম অনুযায়ী মেরামত করা হতো তাহলে এত অল্প সময়ে রাস্তাটির এমন বেহাল অবস্থা হতো না।
নগরীর ওয়াহিদ নামের এক সিএনজি অটোরিক্্রা চালক বলেন, দক্ষিণ সুরমা ফল মার্কেটের সামনের রাস্তা, কদমতলী পয়েন্ট ও হুমায়ুন রশীদ চত্বর পয়েন্টটির রাস্তা বড় বড় গর্ত হয়ে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। এদিকে, ড্রেনের কাজের জন্য নির্মাণ সামগ্রী রেখে রাস্তার অর্ধেক জুড়ে রাখা হয়েছে। অপরদিকে এসব রাস্তায় বড় বড় গর্ত হওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে গাড়ী চালাতে হয়। তাছাড়া প্রতিমাসে ২/৩ বার গাড়ী মেরামত করতে হয়। রাস্তা মেরামতের সময় যদি সংশ্লিষ্টরা সতর্কতার সহিত মেরামত করেন তাহলে এমন অবস্থা সড়কের হতো না।