ছাতকের রাস্তা গুলোর বেহাল দশা, দেখার যেন কেউ নেই!

113

ছাতক থেকে সংবাদদাতা :
ছাতকের রাস্তা গুলোর বেহাল দশা দীর্ঘ দিন ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এ রাস্তা গুলো দেখার যেন কেউ নেই। jalalpur-lamarosulgonj-16রাস্তা গুলো সংস্কার ও মেরামত না করায় এসব রাস্তা এখন মরণ ফাঁদে পরিণত হচ্ছে। এসব রাস্তায় যানবাহন চলাচল করাও এখন চরম হুমকির সম্মুখীন। প্রতিটি রাস্তার কার্পেটিং উঠে বড়-বড় গর্ত হয়ে পানি জমে ছোট-ছোট ডোবায় পরিণত হচ্ছে। এসব ভয়াবহ ভাঙ্গন কবলিত সড়কগুলোতে যানবাহনে লক্কর-ঝক্কর অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জনসাধারন প্রতিদিনই ছুটছেন নিজ-নিজ গন্তব্যে। এসব রাস্তা দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে স্কুল, কলেজ, মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, হাট-বাজারে আগত ক্রেতা-বিত্রেতাসহ সর্বস্তরের মানুষ অবর্ণনীয় দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করছেন।
জানা গেছে, উপজেলার ১৩টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় গ্রামীণ পাকা সড়ক রয়েছে ৩শ’ ১৬কি.মি. ও কাঁচা রাস্তা ৩শ’ ১৪কি.মি.। এরমধ্যে উপজেলা এলজিইডি থেকে ৮০কি.মিটার পাকা সড়কের ভাঙ্গন দাবি করলেও প্রকৃত পক্ষে প্রায় আড়াইশ’ কি.মিটার সড়ক মারাত্মক ভাঙ্গন কবলিত রয়েছে। প্রায় একযুগ থেকে এসব ভাঙ্গন কবলিত রাস্তা সংস্কারে ঊর্ধ্বতন মহলে কোন প্রস্তাব করেননি সাবেক উপজেলা প্রকৌশলী সমরেন্দ্র তালুকদার। তার বিরুদ্ধে রয়েছে সংস্কারের নামে লুটপাটের ব্যাপক অভিযোগ। সে সময়ে সংস্কারকৃত রাস্তা মেরামতে দেয়া হয় বিটুমিনের বদলে পুরাতন মবিল। ভাঙ্গা রাস্তাগুলো হচ্ছে, হাসনাবাদ-নয়া-লম্বাহাটি, তাজপুর-নূরুল্লাপুর, পালপুর-জাতুয়া, গোবিন্দগঞ্জ-দশঘর, গোবিন্দগঞ্জ-বসন্তপুর, জালালপুর-লামা-রসুলগঞ্জ (মরহুম আবুল খয়ের সড়ক), বুড়াইরগাঁও-আলমপুর, মৈশাপুর-কাঞ্চনপুর, নোয়ারাই-চাইরগাঁও, নোয়ারাই-দোয়ারাবাজার, নোয়ারাই-ইসলামপুর, ছাতক-জাউয়া, ছাতক-আমবাড়ি-সুনামগঞ্জ, নোয়ারাই-বাংলাবাজার, কৈতক-কামারগাঁও, কালিপুর-সিরাজগঞ্জ, জাউয়া-জিয়াপুর-কচুরগাঁও, বুড়াইগাঁও-বাউভূগলী, পীরপুর-সিকন্দরপুর, জাতুয়া-মনিরজ্ঞাতি-মানিকগঞ্জ, পালপুর-সিরাজগঞ্জ, মুক্তিরগাঁও প্রকাশিত বঙ্গবন্ধু সড়কসহ অন্যান্য সড়ক। প্রত্যেহ এসব রাস্তায় ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। ফলে প্রায় ৩ লক্ষাধিক লোকজন যাতায়াতের ক্ষেত্রে এখন চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। এদিকে গোবিন্দগঞ্জ-ছাতক সড়কের প্রায় ৬টি ব্রীজ মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। প্রতিদিন এ সড়ক দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে দূরপাল্লার মালবাহী ও যাত্রীবাহী বাস-মিনিবাসসহ অন্যান্য যানবাহন। সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের গোবিন্দগঞ্জ বহুমুখী উচ্ছ বিদ্যালয় গেইট থেকে আল-আমিন ফিলিং ষ্ট্রেশন পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা। বৃষ্টির পানি এবং বাজারের ময়লা আবর্জনা জমে এখানে খানা-খন্দকে যেন হয়ে উঠেছে ছোট-ছোট ডোবা। এ ভয়াবহ ভাঙ্গন কবলিত প্রায় ৪শ’মিটার ভাঙ্গা সড়কে যানবাহনে লক্কর-ঝক্কর অবস্থায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন চলাচল করছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অলিউর রহমান চৌধুরী বকুল জানান, ভাঙ্গা রাস্তাগুলো পর্যায়ক্রমে মেরামত ও সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ছাতক উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) আবুল মনসুর জানান, উপজেলার ৩শ’ ১৬কি.মি. রাস্তার মধ্যে ৮০কি.মি. ভাঙ্গা রাস্তা সংস্কারের জন্য গেল ১৯ জুলাই ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে ৫কোটি টাকার একটি প্রকল্প পাঠানো হয়েছে। এ বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পে বরাদ্দ আসতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন।