শাহ্ মাশুক নাঈম, দোয়ারাবাজার থেকে
দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেন ফুলের বিছানা পেতে রেখেছে কেউ। যতদূর চোখ যায়, সবুজের মাঝে সৌন্দর্যের শোভা ছড়াচ্ছে লাল ফুল ‘শাপলা’। ভোরের সূর্যের আলোয় ফুটন্ত লাল শাপলার চোখ জুড়ানো হাসি, আশপাশের পরিবেশ আলোকিত করে দেয়। জাতীয় ফুলের রঙ সাদা হলেও লাল শাপলা মানুষকে আকর্ষিত করে বেশি।
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মহব্বতপুরবাজারের দক্ষিণে টিলাগাঁও গ্রামের পুবের রাস্তার দুই পার্শে বৈশাখী ধান ক্ষেতে পানিতে সবুজ পাতার ওপর মাথা উঁচু করে সৌন্দর্য ছড়াচ্ছে লাল শাপলা। এই জাতীয় শাপলা ফুল ছড়িয়ে রেখেছে ভিন্ন এক রূপের বাহার। প্রতিদিনিই কাকডাকা ভোর থেকে লাল শাপলা দেখতে ভিড় জমায় স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ সব বয়েসের দর্শনার্থীরা। অনেকই করছেন নিজেকে লাল শাপলার সাথে ক্যামেরা বন্দি।
স্হানীয়রা জানান, যে পতিত ধান ক্ষেতে লাল শাপলা ফুটেছে এখানে কৃষকেরা প্রতি বৈশাখমাসে ধান চাষ করে। আর শীতকাল এলেই এখানে ধান চাষ না হওয়াতে সেখানে সৌন্দর্যের শোভা ছড়ায় জাতীয় লাল ফুল ‘শাপলা’
আর প্রাকৃতিক কারণে শাপলার সৌন্দর্য উপভোগ করতে অনেক সময় দর্শনার্থীরা সকাল বেলা এখানে ভির জমান। কারণ সূর্য উঠার সঙ্গে-সঙ্গে শাপলা ফুল নিজেকে মেলে ধরতে শুরু করে, তখন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ে রক্তিম আভা। আর সূর্য প্রখর হলে ধীরে-ধীরে গুটিয়ে নেয় নিজেকে। যারা এ বিষয়ে জানেন, তারা ভোরেই চলে আসেন।
টিলাগাঁও গ্রামের রবিউল ইসলাম দৈনিক কাজির বাজারকে বলেন, এই ক্ষেতে শুধু বৈশাখী ধান চাষ করা হয়। আর এই ধানক্ষেতে প্রাকৃতিকভাবে প্রতি বছর গজায় শাপলা ফুলের গাছ। প্রথমে অল্প কয়েকটি গাছ ছিল। এখন সহস্রাধিক হয়েছে। আর এ মনোমুগ্ধকর পরিবেশে শাপলা ফুলের হাসি দেখতে আশপাশের এলাকার তরুণ-তরুণীসহ নানা বয়সের মানুষ সেখানে ভির জমায়।
দোয়ারাবাজার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ মহসিন দৈনিক কাজির বাজারকে বলেন, উপজেলার খাল-বিল, হাওয় বাওর, ও পুকুর শুকিয়ে ফেলার কারণে শাপলা ফুল এখন বিলুপ্তির পথে।