তামিমের ভাইকিংসকে সহজেই হারালো ঢাকা

70

স্পোর্টস ডেস্ক  :
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) দশম ম্যাচে সহজ জয় তুলে নিয়েছে কুমার সাঙ্গাকারার ঢাকা bg1_939462134ডায়নামাইটস। আরেকটি লো-স্কোরিং ম্যাচে তামিম ইকবালের চিটাগং ভাইকিংসকে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ঢাকা।
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন চিটাগং অধিনায়ক তামিম ইকবাল। ঢাকা ডায়নামাইটসকে মাত্র ৯৩ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয় চিটাগং ভাইকিংস। ঢাকার হয়ে বল হাতে নেওয়া ছয়জন বোলারই উইকেট লাভ করেন। জবাবে ১৭.১ ওভার ব্যাট করে ১৭ বল হাতে রেখে ৪ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ঢাকা।
আগে ব্যাটিংয়ে নেমে দ্বিতীয় ওভারের মাথায় সাজঘরে ফেরেন ভাইকিংস দলপতি তামিম (১)। আবুল হাসানের বলে তিনি কুমার সাঙ্গাকারার গ্লাভসবন্দি হন। শুধু তামিমই নন, উইকেটে বেশিরভাগ ব্যাটসম্যানই থিতু হতে পারেননি। সবাই ছিলেন আসা-যাওয়ার মাঝে।
সর্বোচ্চ ২৯ রান আসে নাঈম ইসলামের ব্যাট থেকে। ওপেনার তিলেকারাতেœ দিলশান ব্যক্তিগত ২০ রানে স্পিনার মোশাররফ হোসেনের বলে এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়েন। শেষ পর্যন্ত ১.২ ওভার বাকি থাকতে ৯২ রানে গুটিয়ে যায় চিটাগং।
ঢাকার হয়ে তিনটি করে উইকেট লাভ করেন মুস্তাফিজুর রহমান ও অধিনায়ক নাসির হোসেন। একটি করে উইকেট পান ফরহাদ রেজা, আবুল হাসান, মোশাররফ হোসেন ও ইয়াসির শাহ।
৯৩ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ওপেনিং জুটি থেকেই ঢাকার দুই ওপেনার সৈকত আলি এবং সাদমান ইসলাম তুলে নেন ৪৫ রান। দলীয় সপ্তম ওভারের প্রথম বলে শফিউল ইসলামের বলে জিয়াউর রহমানের তালুবন্দি হন সৈকত। বিদায় নেওয়ার আগে ঢাকার এ ওপেনার ১৭ বলে দুটি বাউন্ডারি আর একটি ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ২৩ রান করেন।
ক্যারিয়ারের প্রথম টি-টোয়েন্টি খেলতে নামা ঢাকার আরেক ওপেনার সাদমান ইসলাম অনিক এরপর জুটি গড়েন তিন নম্বরে নামা নাসির জামসেদের সঙ্গে। এ জুটি দলকে সহজ জয়ের দিকে এগিয়ে নিতে থাকে। তবে, দু’জনের জুটিতে স্কোরবোর্ডে আরও ৩৩ রান যোগ করে জামসেদ ফেরেন ইনিংসের ১৩তম ওভারের শেষ বলে। নাঈমের বলে জিয়ার তালুবন্দি হয়ে জামসেদ বিদায় নেন ব্যক্তিগত ১২ রান করে।
১৫তম ওভারের শেষ বলে আবারো উইকেট তুলে নেন নাঈম। নতুন ব্যাটসম্যান নাসির হোসেনকে (২) বোল্ড করেন তিনি।
ক্রিজের অপরপ্রান্তে দাঁড়িয়ে অভিষিক্ত সাদমান ৪৭ বলে ৪৫ রানের দারুণ একটি ইনিংস খেলেন। তার ইনিংসে ছিল ৬টি চারের মার। জয়ের লক্ষ্য থেকে দুই রান দূরে থাকতে নাঈমের তৃতীয় শিকারে বোল্ড হয়ে বিদায় নেন তিনি। আবুল হাসান আর কুমার সাঙ্গাকারা ৫ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। চিটাগংয়ের হয়ে তিনটি উইকেট তুলে নেন ৩ ওভার বল করে মাত্র ৭ রান দেওয়া নাঈম।