কানাইঘাটে বিপুল পরিমাণ নকল নোট ও গাইড বই উদ্ধার

90

Bookকানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট বাজারে অবস্থিত ছাত্রবন্ধু লাইব্রেরী থেকে গত বুধবার ঢাকার বাংলা বাজার শিকদার বই ঘর প্রকাশনীর মনোগ্রাম সম্বলিত হুবুহু তৈরি করা নকল বাঁধাইকৃত ৬ষ্ঠ থেকে ১০ম শ্রেণী পর্যন্ত নোট, গাইড বই উদ্ধার করা হয়েছে। দীর্ঘ কয়েক মাস থেকে ছাত্রবন্দু লাইব্রেরীর মালিক রুবেল আহমদ ঢাকা শিকদার বই ঘর প্রকাশনীর নোট ও গাইড বই জালিয়াতির মাধ্যমে বাঁধাই করে কম মূল্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও লাইব্রেরীতে বিক্রি ও বাজারজাত করে আসছিল। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার সকালের দিকে শিকদার বই ঘরের প্রকাশক ও স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ আলা উদ্দিন শিকদার প্রকশনীর আরো কয়েকজন কর্মকর্তাকে নিয়ে কানাইঘাটে আসেন। তিনি কানাইঘাট ছাত্রবন্দু লাইব্রেরী থেকে গ্রাহক সেজে শিকদার প্রকাশনীর মনোগ্রাম সম্বলিত নকল বাঁধাইকৃত নিম্ন মানের সোনার বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি, গাইড চয়েজ ইংলিশ মডেল বুকেশনাল, স্বাধীন বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি একাধিক নোট ও গাইড বই খরিদ করেন। এক পর্যায়ে শিকদার বই ঘরের স্বত্ত্বাধিকারী মোঃ আলা উদ্দিন শিকদার বিষয়টি কানাইঘাট উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দকে অবহিত করেন। পরে শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও কানাইঘাট সদর ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম শিক্ষক সমিতির সাবেক নেতা সাতবাঁক ইউপি চেয়ারম্যান মাষ্টার ফয়জুল ইসলাম, বাজারের ব্যবসায়ীদের নিয়ে ছাত্রবন্দু লাইব্রেরীতে গিয়ে লাইব্রেরীর মালিক রুবেল আহমদকে শিকদার বই ঘরের নোট ও গাইড বই জালিয়াতির মাধ্যমে বাঁধাই করে বিক্রির ঘটনা জানতে চাইলে সে কোন সদুত্তর দিতে পারেনি। এক পর্যায়ে বিষয়টি কানাইঘাট থানা পুলিশকে অবহিত করা হলে থানার এস.আই আব্দুল কাদের ঘটনাস্থলে যান এবং শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ ও ব্যবসায়ীদের উপস্থিতিতে বিপুল সংখ্যক শিকদার প্রকাশনীর মনোগ্রাম সম্বলিত নোট ও গাইড বই ছাত্রবন্দু লাইব্রেরীতে পাওয়া যায়। একপর্যায়ে লাইব্রেরীর মালিক রুবেল আহমদ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তালা মেরে পালিয়ে যায়। বিষয়টি সমাধানের জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলা শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শিকদার প্রকাশনীর মালিক আলা উদ্দিন শিকদার ও ছাত্রবন্দু লাইব্রেরীর মালিক ও স্বজনদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। শিকদার প্রকাশনীর স্বত্ত্বাধিকারী আলা উদ্দিন জানিয়েছেন দীর্ঘদিন ধরে তার সুনামধন্য প্রতিষ্ঠানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে কানাইঘাট ছাত্রবন্দু লাইব্রেরীর মালিক রুবেল আহমদ ও অন্যান্যরা যোগ সাজশ করে তারই প্রকাশনীর মনোগ্রাম ব্যবহার করে কমদামে নকল বাঁধাইকৃত নোট ও গাইড বই বিক্রি করে আসছিল। এতে তার প্রতিষ্ঠানের ২০/২৫ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়েছে। বিষয়টি সমাধান না হলে তিনি আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানান।