পাকিস্তান বাংলাওয়াশ

20

ban-11_63168স্পোর্টস ডেস্ক :
তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের শেষটিতেও সহজ জয় তুলে নিল টাইগাররা। ৮ উইকেটের জয় নিয়ে নিজেদের এ সিরিজে ফেভারিট প্রমান করে লাল-সবুজের বাংলাদেশ। ফলে, ৩-০ তে জয় নিয়ে সফরকারী পাকিস্তানকে ‘বাংলাওয়াশ’ উপহার দিল মাশরাফি বাহিনী।
২৫১ রানের জয়ের টার্গেটে নেমে ৬৩ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা। ৩৯.৩ ওভার খেলেই পাকিস্তানকে লজ্জার বাকিটুকু বুঝিয়ে দিল বাংলাদেশ।
পাকিস্তানের ছুড়ে দেওয়া ২৫১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নামেন টাইগারদের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল এবং সৌম্য সরকার। আর ব্যাটিংয়ে নেমেই বাংলাদেশ দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন ওপেনাররা।
পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা দুই সেঞ্চুরির মালিক তামিম জুনায়েদ খানের বলে এলবি’র ফাঁদে পড়ে বিদায় নেন। তবে, আউট হওয়ার আগে আরেক ওপেনার সৌম্য সরকারকে নিয়ে ১৪৫ রানের ওপেনিং জুটি গড়েন তামিম। ফেরার আগে ৭৬ বলে ৮ চার আর এক ছয়ে তামিম করেন ৬৪ রান।
তামিমের বিদায়ের পর বিশ্বকাপের চমক মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ নামলেও দ্রুতই ফিরে যান তিনি। মাত্র ৪ রান করে জুনায়েদ খানের বলে বোল্ড হন তিনি।
১৫৪ রানের বাংলাদেশ দ্বিতীয় উইকেট হারালেও ভয়ের কিছুই ঘটতে দেননি সৌম্য সরকার। দলকে সহজ জয়ের দিকে এগিয়ে নিতে সৌম্য শতক হাঁকিয়ে অপরাজিত থাকেন। এ ম্যাচের মধ্য দিয়ে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম শতকের দেখা পাওয়া সৌম্য ৯৪ বলে তার শতক পূর্ণ করেন। ব্যাটিং ক্রিজে ওপেনিংয়ে নামা সৌম্যর দৃষ্টিনন্দন ইনিংসে ছিল ১৩টি চার আর ৬টি ছক্কা। শেষ পর্যন্ত ১১০ বলে ১২৭ রান করে অপরাজিত থাকেন সৌম্য।
আর এ ওপেনারকে সঙ্গ দিয়ে টাইগারদের আরেক রান-মেশিন মুশফিকুর রহিম করেন অপরাজিত ৪৯ রান। তার ৪৩ বলের ইনিংসে ছিল ৬টি চারের মার। সৌম্য-মুশফিক জুটিতে আসে আরও ৯৭ রান।
এর আগে টস জিতে ব্যাটিং নেওয়া পাকিস্তান স্বাগতিক বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৪৯ ওভারেই গুটিয়ে যায়।
ওপেনিংয়ে ব্যাটিংয়ে নেমে পাকিস্তানি অধিনায়ক আজাহার আলীর সঙ্গে সমান তালে ব্যাট চালিয়ে যান একদিনের ক্রিকেটে অভিষেক হওয়া সামি আসলাম। তবে ১৮তম ওভারের শেষ বলে নাসিরের বলে উইকেটের পিছনে মুশফিকের তালুবন্দি হয়ে সাজঘরে ফেরেন সামি আসলাম। ৫০ বলে ৪৫ রানে সাজঘরে ফেরার আগে সাতটি বাউন্ডারি মারেন সামি।
সামি আসলাম ফিরলেও দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন পাকিস্তানের দলপতি আজহার আলি। জাতীয় দলের হয়ে টেস্টে ৭টি শতক আর ১৮টি অর্ধশতকের মালিক হলেও ওয়ানডেতে প্রথম শতকের দেখা পেলেন এ ম্যাচে। তবে, শতক হাঁকানোর পরই ব্যক্তিগত ১০১ রান করে সাকিবের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন আজহার। আউট হওয়ার আগে তিনি ১১২ বলে দশটি চার মারেন।
১১১ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক হাঁকানো আজহারকে সঙ্গ দেন চার নম্বরে নামা হারিস সোহেল। এ দু’জন মিলে স্কোরবোর্ডে আরও ৯৮ রান যোগ করেন।
সাকিবের পর বোলিং আক্রমণে এসে মাশরাফি বিদায় করেন হারিস সোহেলকে। মুশফিকের গ্লাভসবন্দি হওয়ার আগে সোহেল করেন ৫৩ রান। এছাড়া সাদ নাসিম করেন ২২ রান।
মাশরাফি নির্ধারিত ওভার শেষে ৪৪ রান দিয়েছেন আর সাকিব দিয়েছে ৩৫ রান। দু’জনই দুটি করে উইকেট তুলে নেন। এছাড়া রুবেল ও আরাফাত সানিও দুটি করে উইকেট তুলে নেন।