হরতালে সবকিছু স্বাভাবিক, বৈশাখী কেনাকাটায় ভিড়

37

bb-2স্টাফ রিপোর্টার :
জামায়াতের ডাকা হরতাল অথচ নগরীতে উপচেপড়া মানুষের ভিড়। নগরীর শপিংমলে ছিল বৈশাখী বেচাকেনার ধুম। জামায়াতের ডাকা হরতালে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আল হামরা শপিং সিটিই খোলা রাখা হয়েছে। এই হচ্ছে, সিলেটে হরতালের চিত্র।
আজ মঙ্গলবার পহেলা বৈশাখ। ওই দিনকে কেন্দ্র করে বাঙালিরা নিচ্ছেন নানা প্রস্তুতি। কিন্তু নববর্ষের আগের দিনই ছিল জামায়াতের ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল। এমতাবস্থায় বিপাকে পড়েন ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা। তবে জামায়াতের হরতালকে উপেক্ষা করে নগরীর ছোট-বড় মার্কেটগুলো খোলা ছিল। অনেকটা কৌশলে ব্যবসায়ীরা তাদের ব্যবসা পরিচালনা করছেন। তারা মাকের্টের সামনের গেইট বন্ধ রেখে চালিয়ে গেছেন ব্যবসা। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ বিপণী বিতানগুলোতে মূল ফটকে তালা দেওয়া থাকলেও অন্যপাশের গেইট রয়েছে ছিল। আবার কোন কোন মার্কেটের আন্ডার গ্রাউন্ড দিয়ে ক্রেতারা চলাচল করছেন। গতকাল সোমবার সকাল ১১টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত নগরীর বিভিন্ন শপিংমল ও বিপণী বিতানগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
নগরীর মধুবন মার্কেট, হাসান মার্কেট, করিম উল্লাহ মার্কেট, শুকরিয়া মার্কেট, সিলেট প্লাজা, ব্লু-ওয়াটার, আলা-হামরা, লতিফ সেন্টারসহ বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা যায়, মার্কেটের প্রধান গেইট বন্ধ। খোলা ছিল আন্ডার গ্রাউন্ডের পার্কিং এর গেইট। এ গেইট দিয়ে ভিতরে প্রবেশ করে আবার উপরে উঠে কেনাকাটা করতে আসেন ক্রেতারা। আবার কোন কোন শপিংমলের আন্ডার প্রাউন্ড সুবিধা না থাকায় প্রধান ফটকে শিকল দিয়ে তালা মেরে মানুষ যাতায়াতের জন্য কিছু জায়গা ফাঁক করে রাখা হয়েছে। তবে যে কোন ধরনের বিশৃংখলারোধ করতে সবসময় সজাগ থাকতে হয়েছে মার্কেটের সামনে থাকা গেইট ম্যানদের কোন ধরনের সমস্য হলে গেইটে তালা দিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, নগরীর বেশীর ভাগ বিপণী বিতাণগুলো বছরের কয়েকটি উপলক্ষে ভালো ব্যবসা করে আর অন্য সময়ে টুকটাক কিছু ব্যবসা করে থাকে। এর মধ্যে ঈদ, পূজা ছাড়াও বিয়ে, বৈশাখী, স্বধীনতা দিবস এগুলোতেও ব্যবসা করে থাকে এর মধ্যে এবার ভাটা পরেছে।
নগরীর শুকরিয়া মাকের্টের এক ব্যবসায়ী বলেন, ব্যবসার অবস্থা ভালো না। ঘরে বসেও সময় কাটে না তাই ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলে বসলাম। তিনি আরো বলেন, গত কয়েক দিন হরতাল-অবরোধ না থাকায় মোটামুটি ভালো ব্যবসা হয়েছে। তবে আজ হরতাল হওয়াতে ক্রেতারা মার্কেটে আসছেন না। তবে আর যারা আসছেন তারাও রয়েছে আতঙ্কে।
নগরীর উপশহর এলাকা থেকে আসা রহিমা আক্তার বলেন, মনে আতঙ্ক নিয়ে হরতালের মধ্যে পহেলা বৈশাখীর কেনাকাটা করতে এসেছি। পহেলা বৈশাখের আগের দিন হরতাল দেয়াটা উচিৎ হয়নি বলে মন্তব্য করেন তিনি।
উল্লেখ্য,জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল ও আলবদর কমান্ডার মুহাম্মদ কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকরের পর জামায়াতের ডাকা দেশব্যাপী সকাল-সন্ধ্যা হরতালে ডাক দেয়। গতকাল সোমবার সকাল ৬টা থেকে এ হরতাল শুরু হয়। তবে জামায়াতের হরতালকে উপেক্ষা করে সিলেট নগরীর ব্যবসায়ীরা চালিয়ে যাচ্ছে তাদের কার্যক্রম।