১১ আগষ্ট থেকে চলবে ট্রেন, বিক্রি হবে অর্ধেক টিকিট

6

কাজিরবাজার ডেস্ক :
আগামী ১১ আগষ্ট থেকে ৩৮ জোড়া আন্তঃনগর ও ১৯ জোড়া মেইল-কমিউটার ট্রেন দিয়ে সীমিত আকারে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। প্রতিটি ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে। নন কম্পিউটারাইজড স্টেশনের টিকিট ওই স্টেশন কাউন্টার থেকে ক্রয় করতে হবে। এ ছাড়া চলমান লকডাউন আগামী ১০ আগষ্টের পর বর্ধিত করা হলে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে।
বৃহস্পতিবার (৫ আগষ্ট) বাংলাদেশ রেলওয়ে সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করে।
সূত্র জানিয়েছে, এবারও ৫০ শতাংশ টিকিট বিক্রি করা হবে, যার পুরোটাই দেয়া হবে অনলাইনে। বন্ধ থাকবে কাউন্টার। কোরবানির ঈদে যে কয়টা ট্রেন চলেছে সেগুলো দিয়েই ১১ আগষ্ট থেকে ট্রেন চলাচল শুরু হবে। নিয়ম-কানুন একই থাকছে।
এদিকে শিল্পকারখানা খুলে দিয়ে ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচলের সুযোগ রেখে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান বিধিনিষেধ আরও পাঁচদিন অর্থাৎ আগামী ১০ আগষ্ট পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ আগষ্ট) মন্ত্রী পরিষদ বিভাগ থেকে এ প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, করোনাভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯) সংক্রমণের পরিস্থিতি বিবেচনায় আরোপিত আগের বিধিনিষেধের ধারাবাহিকতায় নতুন দুটি শর্তে ৫ আগষ্ট রাত ১২টা থেকে ১০ আগষ্ট দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত এ বিধিনিষেধ আরোপের সময়সীমা বর্ধিত করা হলো।
দুটি শর্তে বলা হয়েছে, শিল্পকলকারখানা বিধিনিষেধের আওতাবহির্ভূত থাকবে এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে অভ্যন্তরীণ রুটে বিমান চলাচল করবে।
গত ২৩ জুলাই সকাল ৬টা থেকে ১৪ দিনের কঠোর বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। সেই বিধিনিষেধের মেয়াদ বৃহস্পতিবার (৫ আগষ্ট) রাত ১২টায় শেষ হবে। বিধিনিষেধে সব ধরনের গণপরিবহন, সরকারি-বেসরকারি অফিস বন্ধ। খাদ্যপণ্য উৎপাদন-প্রক্রিয়াকরণ, চামড়া পরিবহন-সংরক্ষণ ও ওষুধ খাত ছাড়া বন্ধ রয়েছে সব ধরনের শিল্পকারখানা।
১ আগষ্ট থেকে রফতানিমুখী শিল্পকারখানা খুলে দিয়েছে সরকার। বন্ধ রয়েছে দোকানপাট ও শপিংমল। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষের বাইরে বের হওয়াও নিষেধ।
কিন্তু এর মধ্যেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি। দিন দিন অবনতি হচ্ছে পরিস্থিতির। স্বাস্থ্য অধিদফতরের সবশেষ বুধবারের (৪ আগষ্ট) হিসাব অনুযায়ী, একদিনে ২৪১ জন করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ১৩ হাজার ৮১৭ জন। এর মধ্যে বিধিনিষেধ আরও ১০ দিন বাড়ানোর সুপারিশ করেছিল স্বাস্থ্য অধিদফতর।