জৈন্তাপুরে ইউএনও অবরুদ্ধ অত:পর উদ্ধার, অবৈধ বাঁশকল উচ্ছেদে ট্রাক শ্রমিকদের সিলেট-তামাবিল সড়ক অবরোধ

29

08-04-2015 Jaintapur (8)জৈন্তাপুর থেকে সংবাদদাতা :
জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক সিলেট-তামাবিল মহাসড়কে বাঁশকল বসিয়ে খাস কালেকশনের নামে অবৈধ ভাবে চাঁদা উত্তোলন বন্ধের দাবিতে জৈন্তাপুরে ট্রাক অবরোধ চলছে। এ সময় উপজেলা নির্বাহীকে অবরোধ করে রাখে ট্রাক শ্রমিকরা। পরে পুলিশ সহায়তায় উদ্ধার হন উপজেলা নির্বাহী (ভারপ্রাপ্ত) তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া।
জানা যায়- বিগত বৎসরের নভেম্বর মাস হতে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ খালেদুর রহমান খাস কালেকশনের নামে নিজস্ব লোক নিয়োগ করে সিলেট-তামাবিল মহাসড়কের জৈন্তাপুর চাঙ্গীল নামক এললাকায় অবৈধ ভাবে বাঁশকল বসিয়ে আমদানীকৃত এলসি পাথর সহ অন্যান্য পাথর থেকে ১ টাকা হারে চাঁদা উত্তোলন করে আসছেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাক শ্রমিক, ট্রাক মালিক ও পাথর ব্যবসায়ীরা বাঁশকল অপসারণের দাবী জানিয়ে আসছেন। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন বিভিন্ন উপর মহলের যোগ সাজেসে আদামানীকৃত সহ সকল প্রকার পাথর থেকে চাঁদা উত্তোলন করছে। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় সিলেট জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের নির্দেশে জৈন্তাপুর আঞ্চলিক ট্রাক চালক সমিতির সভাপতি নুরু মিয়া, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান ও সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে প্রায় ২শতাধিক ট্রাক চালক শ্রমিক একযোগে অবৈধ বাঁশকলটি ভেঙ্গে ফেলে। সংবাদ পেয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া ঘটনাস্থলে গেলে উত্তেজিত ট্রাক শ্রমিকরা তাকে অবরোদ্ধ করে ফেলে। এ সংবাদে জৈন্তাপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ গোলক চন্দ্র বসাক ও সিনিয়র এস.আই মোঃ আব্দুল মোতালেব অতিরিক্ত ফোর্স নিয়ে শ্রমিকদের শান্ত করে নির্বাহী অফিসার সহ রয়েল্টি আদায়কারী কর্মকর্তাদের উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এদিকে ট্রাক অবরোধ সংবাদ পেয়ে তামাবিল চুনাপাথর, পাথর ও কয়লা আমদানী কারক গ্র“পের সভাপতি গোলাম নবী ভূঁইয়া, যুগ্ম সম্পাদক ইলিয়াছ উদ্দিন লিপু, জাফলং মিল মালিক সমিতির সভাপতি বাবুল বখত, জৈন্তাপুর ট্রাক মালিক সমিতির নেতৃবন্দ, জাফলং ট্রাক চালক শ্রমিক ইউনিয়ন ও ট্রাক মালিক শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দ আন্দোলনকারী শ্রমিকদের সাথে একাত্বতা প্রকাশ করেছেন।
এ বিষয়ে জৈন্তাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ভারপ্রাপ্ত) তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়ার সাথে একাধিক বার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
এ বিষয়ে অফিসার ইনচার্জ জানিয়েছেন- অবরোধের সংবাদ পেয়ে আমরা নির্বাহী অফিসারকে অবরোধকারীদের হাত থেকে উদ্ধার করি। কিন্তু শ্রমিকরা তাদের যুক্তি সম্পন্ন দাবী নিয়ে আন্দোলনে থাকায় আমরা বাধা দিতে পারিনি।
এদিকে আন্দোলনকারী অনেকর সাথে আলাপকালে তারা জানান- বাঁশকল ঘরটি যতক্ষণ পর্যন্ত প্রশাসন সরিয়ে না নিবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সিলেট তামাবিল-মহাসড়কের বাঁশ কল অপসারণের জন্য ট্রাক অবরোধ চলছে।