সুনামগঞ্জে হত্যা মামলায় দু’জনের জামিন নামঞ্জুর

38

সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জ পৌরসভার ওয়েজখালী আবাসিক এলাকাতে বহুল আলোচিত ওয়ারিশ আলী হত্যা মামলার প্রধান আসামী সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোঃ খোরশেদ আলম ও নুর উদ্দিনের জামিন না মঞ্জুর করে তাদেরকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত।  বুধবার বিকেলে মামলার প্রধান আসামী মোঃ খোরশেদ আলম ও নুর উদ্দিন সুনামগঞ্জ সদর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মকবুল হাসানের আদালতে স্বশরীরে হাজির হয়ে জামিন আবেদন প্রার্থনা করলে বিজ্ঞ বিচারক মকবুল হাসান তাদেরকে জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ প্রদান করেন। তারা দীর্ঘদিন পলাতক ছিলেন। উল্লেখ্য গত বছরের ২৯ জুলাই ওয়েজখালী এলাকার মৃত আশরাফ আলীর ছেলে ওয়ারিশ আলী সকাল সাড়ে ৭টার দিকে পার্শ্ববর্তী জামে মসজিদে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায়ে যাওয়ার সময় রাস্তায় স্থানীয় ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক পৌর কাউন্সিলর খোরশেদ আলম ও তার আরো ১৫/২০ জন সহযোগি মিলে ওয়ারিশ আলীর গতিরোধ করে ধারালো অন্ত্র ডেগার, লাঠিসোটা দিয়ে তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ওয়ারিশ আলীর আত্মীয় স্বজনরা তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাৎক্ষণিকভাবে সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত সিলেট এমএ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। ওয়ারিশ আলী প্রায় এক সপ্তাহ ওসমানী হাসপাতালে গত ৪ আগষ্ট মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই আলী হায়দার বাদী হয়ে ওয়েজখালী এলাকার মৃত সমাই মিয়ার ছেলে সাবেক পৌর কাউন্সিলর মোঃ খোরশেদ আলমকে প্রধান আসামী করে একই এলাকার মীর বখসের ছেলে বাদশা মিয়া, সোনাফর আলীর ছেলে খেলু মিয়া, নুরুল হক, নুর মিয়া, আব্দুল জহুর ও জগলু মিয়াসহ ৩৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৫ জন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিসহ ৪৪ জনকে আসামী করে সুনামগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ প্রায় ৯ মাস পর প্রধান আসামী খোরশেদ আলম ও নুর উদ্দিন বুধবার স্বশরীরে আদালতে হাজির হলে বিজ্ঞ আদালত তাদেরকে জেলহাজতে পাঠান। তবে অন্যন্যা আসামীদের অনেকেই আদালতে হাজির হয়ে জেল খেটে জামিনে বেরিয়ে গেছেন এবং আরো দু’জন  আসামী এখনো জেলে অন্তরীণ রয়েছেন বলে আদালত সূত্র জানায়।