বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী ॥ আমরা দেই বই, আর খালেদা দেয় আগুন

43

PM_bg_15_118462479কাজিরবাজার ডেস্ক :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ১৫ লাখ পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা শুরুর দিন থেকেই হরতাল দিয়ে আসছে খালেদা জিয়া। গাড়িতে আগুন দেয়া হচ্ছে। জামায়াত-শিবিরের সহযোগিতায় এসব করছেন খালেদা জিয়া। বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশে বিএনপি-জামায়াত সহিংসতা করে যাচ্ছে।
গতকাল বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ৯৫তম জন্মবার্ষিকীর আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা দেই বই-পুস্তক। আর খালেদা জিয়া দেয় আগুন। আমরা সৃষ্ঠি করি। আর খালেদা জিয়া ধ্বংস করে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “মানুষ পোড়ানো ও মানুষের স্বাধীনতা ধ্বংস করাই খালেদা জিয়ার কাজ। উনি কোর্ট-কাছারি কিছু মানেন না। আদালত অবমাননা করেন। উনি চুরি করতে পারেন, এতিমদের টাকা লুট করতে পারেন। কিন্তু ধরা পড়ে গেলে মামলা মোকাবেলা করার সাহস পান না। জ্বালাও পোড়াও করে তিনি মামলা থেকে বাঁচতে চান।‘
তিনি বলেন, “২০১৪ সালের নির্বাচন বন্ধে খালেদা জিয়ার ডাকে দেশের জনগণ সাড়া দেয়নি। সেই সময় তার নির্দেশে বিএনপি-জামায়াত মসজিদে আগুন দিল, কোরআন শরিফ পোড়াল। তারপরও নির্বাচন বন্ধ করতে পারেনি। তারপর একটা বছর দেশের মানুষ শান্তিতে ছিল। তাদের ভিতরে আশা জেগে উঠেছিল। কিন্তু ৬ জানুয়ারি থেকে উনি আবার শুরু করলেন জ্বালাও পোড়াও, লাগাতার হরতাল আর অবরোধ। দেশের মানুষ তার হরতাল-অবরোধে বিরক্ত হয়ে এসব প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন আর কেউ হরতাল মানে না।‘
দেশের মানুষের জন্য খালেদা জিয়ার কোনো চিন্তা নেই-উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “খালেদা জিয়া ও বিএনপি কখনো মুক্তিযুদ্ধ গ্রহণ করতে পারে নাই। ওনার মন পড়ে আছে সেই পেয়ারে পাকিস্তানে। উনার দেহটা এখানে মনটা ওখানে (পাকিস্তানে)। এজন্য বাংলাদেশের মানুষের উন্নয়ন তিনি দেখতে পারেন না।‘
যারা দেশের মানুষদের পুড়িয়ে মেরেছে তাদের রেহাই নেই মন্তব্য করে তিনি বলেন, “বিএনপি দেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি। যারা এদেশের স্বাধীনতা মেনে নিতে পারেনি তাদের কি অধিকার আছে এদেশে রাজনীতি করার? উন্নয়নে বাধা দেওয়া ও ধ্বংস করাই খালেদা জিয়ার কাজ। হরতাল ডেকে তিনি ছেলে-মেয়েদের পরীক্ষা বন্ধ করে দেন। মনে হয় বিএনপি নেত্রীর এই পড়াশোনা পছন্দ নয়। হরতাল দিয়ে শুধু পরীক্ষা বন্ধই নয়; ওনার নির্দেশে ছেলে-মেয়েদের বইও পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।‘