প্রকৃতি কন্যা জাফলং ॥ খানাখন্দে ভরা রাস্তাটি সংস্কারের দায়িত্ব কার..? সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-নজর কামনা এলাকাবাসীর

55

gowainghat photo-15-03-2015গোয়াইনঘাট থেকে সংবাদদাতা :
দেশের অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র সিলেটের প্রকৃতিকন্যা জাফলং। কিছুদিন আগেও সিলেট তামাবিল মহা সড়কের জৈন্তাপুর থেকে জাফলং পর্যন্ত সর্বত্রই প্রায় খানা খন্দে ভরা ছিল। জৈন্তাপুর থেকে নলজুরি পর্যন্ত রাস্তা সংস্কারের কাঝ করলেও প্রকৃতিকন্যা জাফলংয়ের মামার বাজার থেকে বল্লাঘাট পর্যন্ত রাস্তাটি কয়েক বছর থেকে খানাখন্দে ভরা থাকলেও তা সংস্কারে এগিয়ে আসেনি কেউ।
সরজমিন পরিদর্শন কালে দেখাযায় জাফলংয়ের মামার বাজার থেকে বল্লাঘাট পর্যন্ত প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তা খানাখন্দের সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলে প্রায় অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। শীত মৌসুমে এই এলাকার মহাসড়ক পরিণতি হয় ধূলোর রাজ্যে আর বর্ষাকালে থাকে কাদা জলে একাকার। দীর্ঘদিন থেকে এমন বেহাল দশায় পরে থাকলেও এই রাস্তার সংস্কার কাজ করার দায়বদ্ধতা যেন নেই কারোই। এর বাস্তব চিত্রটি এমনই।
মামার বাজার বল্লাঘাট সড়ক সংস্কারের বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপদ বিভাগ কর্মকর্তা বলেন মামার বাজার ও বল্লাঘাট এলাকার রাস্তাটুকু আমাদের আওতাধীন নয়। আবার স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর কর্মকর্তা বলেন এটা আমাদের আওতাধীন নয় জেলা পরিষদের। জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন রাস্তার সংস্কার কাজ করার দায়িত্ব সড়ক ও জনপদ বিভাগ ও স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের। এভাবেই  একজন আরেক জনের উপড় দায় চাপিয়ে দিলেন। কিন্তু জাফলং ভ্রমণের জন্য প্রতিদিনই এই মহা-সড়কেই আসা যাওয়া করেন সরকারের মন্ত্রী, এম পি, সচিব, ডিসি, এসপিসহ প্রশাশনের কর্তারা। তার পরও এই রাস্তাটি সংস্কার বা মেরামত করার দায়ভার নেই কারোই।
তাইতো এলাকাবাসীর প্রশ্ন মামার বাজার ও বল্লাঘাট এলাকার মহা সড়কের সংস্কার কাজের দায়িত্ব কার ?
সরজমিন পরিদর্শন কালে আরও দেখা যায় কিছুদিন আগের সামান্য বৃষ্টির কারণে সিলেট তামাবিল মহা সড়কের মামার বাজার ও বল্লাঘাট এলাকার খানাখন্দে ভরা রাস্তায় মেঘের পানি জমে এখন কাদা জলে একাকার। এই সড়ক দিয়ে যানবাহন থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ জনের চলা ফেরা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল। কিন্তু গেল কয়েকদিনের প্রচন্ড রোধের কারণে পর্যটন কেন্দ্র জাফলং তার চিরচেনা ধূলোর রাজ্য পরিণত হয়েছে।
শীত মৌসুমে এই এলাকার মহাসড়ক পরিণত হয় ধূলোর রাজ্যে আর বর্ষাকালে থাকে কাদা জলে একাকার। এই দুর্ভোগের যেন শেষ নেই জাফলংয়ে আগত পর্যটক সহ এলাকা বাসির।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হামিদুল হক ভূঁইয়া বাবুল জানান শীত মৌসুমে এই এলাকায় থাকে ধূলোর ছড়াছড়ি। অপরদিকে বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই সামান্য বৃষ্টিতেই খানাখন্দে ভরা মহা সড়কে কাদা জলে একাকার থাকে। আমাদের এ দুর্ভোগের যেন শেষ নেই। দীর্ঘদিন থেকে এই সড়কের বেহাল দশা থাকলেও তা সংস্কারের জন্য কারো যেন কোন দায়বদ্ধতা নেই। রাস্তাটি সংস্কারে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-নজর কামনা করেন তিনি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপদ বিভাগ সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী শেখ মনিরুল ইসলাম জানান মামার বাজার থেকে বল্লাঘাট পর্যন্ত রাস্তাটি সড়ক ও জনপদ বিভাগের নয়। তাই এটা সংস্কার কাজ করার দায়িত্ব ও আমাদের না।
স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তর গোয়াইনঘাটের নির্বাহী প্রকৌশলী এ এইচ এম কামরুজ্জামান জানান এই রাস্তাটি এলজিইডি’র আওতাভূক্ত নয়। সড়ক ও জনপদ বিভাগের নতুবা জেলা পরিষদের।
সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী প্রকৌশলী মতিউর রহমান জানান মামার বাজার ও বল্লাঘাট এলাকার এই রাস্তাটুকুর মালিকানা জেলা পরিষদের থাকতে পারে। কিন্তু এর সংস্কার কাজ করার দায়িত্ব সড়ক ও জনপদ বিভাগ এবং স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের।