লড়াই করে হারল আমিরাত

39

206255.3স্পোর্টস ডেস্ক :
আমিরাত কতটা আশা করেছিল, তা বলা কঠিন। তবে মাঠে তাদের শরীরী ভাষা দেখে মনে হল, বিনাযুদ্ধে তারা তিল পরিমাণ যায়গা না ছাড়ার প্রতিজ্ঞাই করেছিল। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের নবীনতম এই দেশটি মাঠে সে ছাপও রাখল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তারা হেরেছে ঠিকই, তবে লড়াই করে। জয় পেতে জিম্বাবুয়েকে তারা অপেক্ষায় রাখে ৪৮ ওভার পর্যন্ত। সাজ ঘরে ফেরায় ৬ ব্যাটসম্যানকে।
প্রথম ব্যাট করে ব্যাটিং শক্তি দেখায় আমিরাত। জিম্বাবুয়েকে দেয় ২৮৬ রানর টার্গেট। উদ্বোধনী জুটিতে ২৬ রান তোলার পর আউট হন আমজাদ আলি (৭)। তেনদাই চাতারার বলে ক্রেইগ আরভিনের হাতে ক্যাচ দেন ইউএই ওপেনার। ৫.৫ ওভারে আমজাদের আউটের পর দ্রুত বিদায় নেন আরেক ওপেনার আন্দ্রে বারেনজারও (২২)। তবে সাইমান আনোয়ারের ৬৭ ও খুররাম খানের ৪৫ রানের উপর ভর করে বড় পুঁজি পায় আমিরাত। এছাড়া আমজাদ আলী ও রোহান মুস্তাফা ছাড়া এদিন আমিরাতের সব ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের উপর রান করেন।
জিম্বাবুয়ের হয়ে ১০ ওভারে ৪২ রানের বিনিময়ে সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন তেন্দাই চাতারা। এছাড়া দুটি করে উইকেট পেয়েছেন সলোমান মিরে ও শন উইলিয়ামস।
বল করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকাকে কাঁপিয়ে দেয়া জিম্বাবুয়েকে অত সহজে ছাড়েননি মোহাম্মদ তৌকিররা।
জিম্বাবুয়ের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৬৪ রান। ১২তম ওভারের শেষ বলে রাজাকে ফেরানোর পর জিম্বাবুয়েকে চেপে ধরে আমিরাত। ১৬৭ রানের ভেতর ৫ উইকেট তুলে জিম্বাবুয়ের সমর্থকদের মনে ভয় ধরিয়ে দেয় নাসির আজিজরা। কিন্তু এল্টন-আর উইলিয়ামস সে ভয়কে চেপে বসতে দেননি। ৮২ রানের জুটি গড়ে তারা জিম্বাবুয়েকে কিছুটা নির্ভার করেন। এখানে একটা ব্রেক-থ্রু আনতে পারলে ম্যাচের চেহারা অন্যরকম হলেও হতে পারত।
২৫০ রানের মাথায় ব্যক্তিগত ৪২ রানে ইরভিন ফেরার পর এল্টন আর উইলিয়ামস হাল ধরেন। জয়ের বন্দরে যাওয়ার বাকী পথটুকু অতিক্রম করেন এই দুই ব্যাটসম্যান। উইলিয়ামস অপরাজিত ছিলেন ৭৬ রানে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত: ২৮৫/৭(৫০ওভার)
জিম্বাবুয়ে: ২৮৬/৬(৪৮.০ ওভার)
ফল: জিম্বাবুয়ে ৪ উইকেটে জয়ী
ম্যান অব দ্যা ম্যাচ: উইলিয়ামস(২ উইকেট, ৭৬ রান)।