মেয়র জি কে গউছের জামিন না-মঞ্জুর

17

gk-gous picহবিগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় হবিগঞ্জ জেলা আদালত সিলেট হবিগঞ্জ পৌরসভার সাময়িক বরখাস্তকৃত মেয়র আলহাজ জি কে গউছ এর  জামিন না-মঞ্জুর করেছে। গতকাল সোমবার হবিগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মুক্তিযোদ্ধা মাহবুবুল হকের আদালতে জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবীরা। এ সময় মেয়র জি কে গউছ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
জি কে গউছের পক্ষে জামিন শুনানিতে অংশ নেন এডভোকেট আরিফ চৌধুরী, জেলা বার সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুর উদ্দিন আহমদ শাহীন, এডভোকেট খালেকুজ্জামান এডভোকেট সালেহ আহমেদ, এডভোকেট সামছু মিয়া, এডভোকেট এম এ মজিদসহ অর্ধশতাধিক আইনজীবী। অপরদিকে, জামিনের বিরোধিতা করেন পিপি আকবর হোসেন জিতু, এডভোকেট আলমগীর ভূঁইয়া বাবুল, এডভোকেট লুৎফুর রহমান, এডভোকেট এডভোকেট সালেগ আহমেদ, এডভোকেট মুশফিউল আলম আজাদসহ আরো কয়েকজন আইনজীবী।
৪০ মিনিট শুনানি শেষে জেলা ও দায়রা জজ মাহবুবুল হক আদেশে বলেন, সাবেক অর্থমন্ত্রী কিবরিয়ার মতো ব্যক্তিত্বকে হত্যার ঘটনায় মামলাটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং আসামী অতিসম্প্রতি আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। তাছাড়া এই মামলাটি সিলেট দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন। সেজন্য তার জামিন নামঞ্জুর করা হলো। আগামী ২৫ জানুয়ারি মামলার নির্ধারিত তারিখ রয়েছে।
গত ২৮ ডিসেম্বর শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলায় হবিগঞ্জ পৌরসভার  মেয়র ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জি কে গউছ হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। ওইদিন বিচারক রোকেয়া আক্তার তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন। এদিকে, গত ৭ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের এক আদেশে জি কে গউছকে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
সম্পূরক চার্জশীটে জি কে গউছকে সিলেট বিভাগে আওয়ামীলীগকে নেতৃত্ব শূন্য করার ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে অভিযুক্ত করা হয়। হরকাতুল জিহাদ নেতা মুফতি হান্নান ১৬৪ এ জবানবন্দিতে ২০০৩ সালে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের বাসায় এক আওয়ামীলীগকে নেতৃত্ব শূন্য করার যে মিটিং হয়েছিল সেখানে জি কে গউছ উপস্থিত ছিলেন বলে জানান।
প্রসঙ্গত, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বৈদ্যেরবাজারে আওয়ামী লীগের জনসভা শেষে গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতা শাহ এএমএস কিবরিয়া, তার ভাতিজা শাহ মনজুরুল হুদা, স্থানীয় আওয়ামী লীগ কর্মী ছিদ্দিক আলী, আবদুর রহিম ও আবুল হোসেন। এ ঘটনায় জেলা আওয়ামীলীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আবদুল মজিদ খান এমপি বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২১ ডিসেম্বর ৩য় দফা সংশোধিত সম্পূরক চার্জশিট দাখিল করেন সিআইডি সিলেট অঞ্চলের সিনিয়র এএসপি মেহেরুন নেছা পারুল। চার্জশীটে বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, হবিগঞ্জ পৌর মেয়র জি কে গউছসহ ৩৫ জনকে আসামী করা হয়।