কমিটিকে প্রত্যাখ্যান করে সংবাদ সম্মেলন ॥ অছাত্র, বিবাহিত ও ব্যবসায়ীদের দিয়ে কানাইঘাট উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন

41

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
গণমাধ্যমে প্রকাশ হওয়ার আগেই নবগঠিত কানাইঘাট উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে ছাত্রদলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মধ্যে গণঅসন্তোষ ছড়িয়ে পড়েছে। গত শুক্রবার গভীর রাতে সিলেট জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদ আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক রাহাত চৌধুরী মুন্না স্বাক্ষরিত তাদের নিজস্ব ফেইসবুক আইডি’তে ৩১সদস্য বিশিষ্ট ও উপজেলা ও ২১ সদস্য বিশিষ্ট পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি প্রকাশ করেন। এরপর নবগঠিত উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। উপজেলা ও পৌর কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে অছাত্র, বিবাহিত ও ব্যবসায়ীদের প্রাধান্য দেওয়ায় আগামী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কমিটি পুনর্গঠন করে প্রকৃত ছাত্র ও ত্যাগী নেতাদের কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে অর্ন্তভুক্ত করার দাবী জানিয়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সংবাদ সম্মেলন করেছেন। গতকাল শুকবার বিকেল ৫টায় কানাইঘাট পূর্ব বাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ে বিপুল সংখ্যক ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে লিখিত বক্তব্যে কানাইঘাট ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি আমিনুল ইসলাম বলেন, উপজেলা বিএনপির কতিপয় ২/৩ জন গণবিচ্ছিন্ন নেতা এবং ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান পাপলু ষড়যন্ত্র করে কানাইঘাট ছাত্রদলকে ধ্বংস করার জন্য জেলা ছাত্রদলের সভাপতি সাঈদ আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক রাহাত চৌধুরী মুন্নাকে চাপ প্রয়োগ করার মাধ্যমে দীর্ঘ ১২ বছর পর গঠিত কানাইঘাট উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের নতুন পকেট কমিটি গঠন করেছেন। বিগত দিনের আন্দোলন সংগ্রাম করতে গিয়ে বারবার যারা নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হয়েছেন তাদেরকে নতুন আহ্বায়ক কমিটিতে গুরুত্বপূর্ণ পদে স্থান দেওয়া হয়নি। উপজেলা ছাত্রদলের নতুন আহ্বায়ক যাকে দেওয়া হয়েছে রুহুল আমিন তার ছাত্রত্ব নেই, বিবাহিত এবং ব্যবসায়ী। অপরদিকে পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক রুহুল আমিন বাবলু ও সদস্য সচিব দেলোয়ার হোসেনেরও ছাত্রত্ব নেই। তারা উভয়ই ব্যবসায়ী এবং ছাত্রদলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে গণবিচ্ছিন্ন। আগামী ৭২ ঘন্টার মধ্যে উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক এবং পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও সদস্য সচিবের পদ পরিবর্তন করে প্রকৃত ছাত্রদের উক্ত পদে আনার জন্য জেলা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। অন্যতায় উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির ২০ এবং পৌর আহ্বায়ক কমিটির ১৫জন সদস্য সহ তৃণমূল পর্যায়ের ত্যাগী নেতাকর্মীরা গণপদত্যাগ করবেন বলে হুমকি দেওয়া হয় সংবাদ সম্মেলনে। উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটিকে একটি পকেট কমিটি আখ্যায়িত করে প্রত্যাখ্যান করেনও তারা। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নবগঠিত ছাত্রদলের সদস্য সচিব আবুল বাশার, দু’টি আহ্বায়ক কমিটির সদস্যদের মধ্যে মুশফিকুল হাসান কবির, আব্দুল বাছিত রিফাত, তাজুল ইসলমা, মঞ্জুর আক্তার, আলমগীর হোসেন, কাওছার আহমদ, শহিদুল ইসলাম, আব্দুল্লাহ, কামরুল, আবুল হাসান, আলী তোফায়েল, হুমায়ুন রশিদ, খালেদ আসকর, বাবুল আহমদ, শিফলুজ্জামান, শাহার আলম, রিয়াজ আহমদ, আব্দুল কাদির, ফাহিম আহমদ, বদরুল আলম সহ আরো অনেকে।