৪০ সালা দস্তারবন্দী সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে আল্লামা শফী ॥ আপনাদের নিকট ভিক্ষা চাইছি অত্যন্ত একটি ছেলেকে মাদ্রাসায় দিন

83

DSC_2872স্টাফ রিপোর্টার :
উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম হাটহাজারী মাদ্রাসার মহাপরিচালক এবং হেফাজতে ইসলামের আমির, খলিফায়ে মাদানী আল্লামা শাহ আহমাদ শফী বলেছেন, প্রতিটি মুসলমানকে হালাল-হারাম বেচে চলতে হবে। ইসলামী শরীয়তে যে সব বিষয় হারাম করা হয়েছে এসব থেকে নিজেকে মুক্ত রাখতে হবে। তিনি বলেন, ছবি উঠানো ইসলামে হারাম কোন প্রাণীর ছবি আঁকা-ঝুলিয়ে রাখা এসব হারাম। যারা ছবি তুলবে হাশরের দিন আল্লাহ পাক এর মধ্যে প্রাণ দেওয়ার জন্য বলবেন সে ব্যক্তি যখন প্রাণ দিতে পারবে না, তখন তাকে জান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।
উপস্থিত হাজার হাজার জনতাকে লক্ষ্য করে আল্লামা শফী বলেন, আপনারা ওয়াদা করেন, যে প্রত্যেকের অন্তত একটি ছেলেকে হাফেজ, আলেম, মুহাদ্দিস বানাবেন। কওমী মাদ্রাসায় লেখা পড়া করে কেউ বেকার থোকে না, কেউ উপবাস থাকে না। রিজিকের মালিক আল্লাহপাক তিনি কাউকে উপবাস রাখেন না। নিজেকে একটি কওমী মাদ্রাসার পরিচালক উল্লেখ করে আল্লামা শফী আরো বলেন, আমি আপনাদের নিকট ভিক্ষা চাইতেছি, অন্তত একটি ছেলেকে মাদ্রাসায় দিন! বর্তমানে ৯০ বছর বয়সে উপনিত হয়েছি কোন দিন কাপড় ক্রয় করিনি। উপবাস থাকি নি। ফারিগীন আলেম উলামাদের উদ্দেশ্যে হাজার হাজার আলেমের উস্তাদ বয়োবৃদ্ধ এই আলেমে দ্বীন স্বীয় মুর্শিদসায়্যিদ হোসাইন আহমদ মাদানীর স্মৃতিচারণ করে বলেন, আমি অসুস্থ শরীর নিয়ে আপনাদের সিলেটে এসেছি শুধু আমার উস্তাদের ভালোবাসার কারণে।
আমার উস্তাদ শায়খুল ইসলাম মাদানী (র) এই সিলেটকে অত্যন্ত মহব্বত করতেন। সেই মহব্বতের টানেই আমি আপনাদের নিকট চলে এসেছি।
প্রত্যেক এলাকায় মক্তব-মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইসলামের সুমহান বার্তা পৌছে দিতে তিনি আহবান জানান।
তিনি গতকাল শুক্রবার রাতে জামেয়া ক্বাসিমুল উলূম দরগাহে হযরত শাহজালাল (রহ.) এর ৩ দিন ব্যাপী ৪০ সালা দস্তারবন্দীর ২য় দিনে উপরোক্ত কথা গুলো বলেন
রাত সোয়া ৯ টায় বয়ান শুরু করেন আল্লামা শাহ আহমদ শফী। এ সময় সভাপতিত্ব করেন জামেয়া মাদানীয়া আগুরা মোহাম্মদপুরের মুহতামিম মাওলানা শায়খ জিয়া উদ্দীন।
অধিবেশন পরিচালনা করেন জামেয়া দারুল কোরআন সিলেটের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, সাবেক এম পি, এডভোকেট শাহীনুর পাশা চৌধুরী।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, পাকিস্তানের আল্লামা শাহ রফি উসমানী, মাওলানা শায়খ আব্দুস শহীদ, গলমুকাপনী, মুফতি আব্দুল মুন্তাকিম, মুফতি আবুল কালাম যাকারিয়া গুরুত্বপূর্ণ বয়ান পেশ করেন।