গোলাপগঞ্জে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে দু’টি আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৫ ডাকাত আটক

33

Dakatগোলাপগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
গোলাপগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে আগ্নেয়াস্ত্র ও অন্যান্য অস্ত্র এবং একটি সিএনজি ফোরস্ট্রোকসহ ৫ডাকাতকে আটক করা হয়েছে। আটক ডাকাতদের গতকাল বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। আটক ডাকাতরা হলেন, হাবিবুর রহমান ওরফে গেদা মিয়া (৩২), নানু মিয়া (২৮), মন্টু (৩০), আব্দুল আহমদ সালাম ওরফে কালা (২৮) ও দেলোয়ার হোসেন (২৪)। এ ব্যাপারে এসআই নুনু মিয়া বাদী হয়ে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় আটক ডাকাতসহ ৭ ডাকাতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ১৮১৭ (সংশোধনী) এর ১৯-এসহ পৃথক পৃথক দু’টি মামলা দায়ের করেছেন।
থানা সূত্রে জানা যায়, গত বুধবার রাত ১০ টার দিকে উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউপির কানিশাইলস্থ ডিএম (পাহাড়) লাইন সড়কের মোড়ে একটি সিএনজি ফোরস্ট্রোক সিলেট-থ ১২-৬৩৫৩ নিয়ে প্রায় ৮/১০ জনের একটি ডাকাতদল ডাকাতি প্রস্তুতি ও শলাপরামর্শকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ একেএম ফজলুল হক শিবলী এসআই কাজী মোক্তাদিরসহ একদল পুলিশ নিয়ে অভিযান চালিয়ে ২টি পাইপগান, ৬ রাউন্ড বন্দুকের কার্তুজ, দু’টি দরজা ভাঙার শাবল, দু’টি রামদা, ডাকাতদের ব্যবহৃত একটি সিনজি ফোরস্ট্রোকসহ ৫ডাকাতকে আটক আটক করা হয়েছে। বাকি আরো দু’ডাকাত পালিয়ে গেছে। আটক ডাকাত হাবিবুর রহমান ওরফে গেদা মিয়ার বাড়ি কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বটেরতল গ্রামে। সে মৃত রইছ আলীর পুত্র, নানু মিয়ার একই বাড়ি গোলাপগঞ্জ উপজেলার ইসলামপুর গ্রামে। সে মোশারফ আলীর পুত্র। মন্টুর বাড়ি একই উপজেলার সুনামপুর গ্রামে। সে মৃত আসকর আলীর পুত্র। আব্দুল আহমদ ওরফে কালার বাড়ি সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক উপজেলার  পালপুর গ্রামে। সে সে মৃত খেতাব আলীর পুত্র। দেলওয়ার হোসেনের বাড়ি উপজেলার সুনামপুর গ্রামে। সে রিয়াজ আলীর পুত্র বলে জানা যায়।  গতকাল বৃহস্পতিবার আটক ডাকাতদের বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় ৭ ডাকাতদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন সহ দু’টি পৃথক পৃথক মামলা দায়ের করা হয়েছে।