সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্রের প্রাচীর নির্মাণে বিএসএফ এর বাধা নেই

50

অবশেষে বিজিবি-বিএসএফ’র পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্রের সীমানা প্রাচীর নির্মাণে আর কোন বাধা থাকল না বিএসএফএর। ফলে নির্মান কাজ দ্রুত সম্পন্নের নিদেশ দেয়া হয়েছে।
জৈন্তাপুর উপজেলার একমাত্র মসলা গবেষণা কেন্দ্র হচ্ছে সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্র। এ কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য সীমানা প্রাচীর নির্মাণ প্রয়োজন দেখা দেয়। পরিকল্পনা অনুযায়ী বিগত কয়েক বৎসর থেকে ঐ গবেষণা কেন্দ্রের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে আসছে। সম্প্রতি সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে গেলে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাধা দেয়। এনিয়ে গত ৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিজিবি-বিএসএফ’র মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তবে ঐ বৈঠকে বিজিবির পক্ষে কড়া প্রতিবাদ জানালে বিএসএফ পুনরায় বৈঠকের আহবান জানিয়ে চলে যায়। পূর্ব নির্ধারিত সময় অনুযায়ী গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৮টায় জৈন্তাপুর সীমান্তের ১২৮৭নং আন্তর্জাতিক পিলারের ৫এস পিলার সংলগ্ন স্থানে বিজিবি-বিএসএফ এর মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সীমানা আইন মেনে ১৫০ গজ দূরত্ব রেখে প্রাচীর নির্মাণ হচ্ছে মর্মে বিএসএফ এর প্রতিয়মাণ হওয়ায় তাদের পক্ষে প্র্রাচীর নির্মাণে কোন বাধা নেই বলে জানায়। পতাকা বৈঠকে ভারতের পক্ষে ১৮নং ব্যাটালিয়নের মুক্তাপুর কোম্পানী কমান্ডার বিরেন্দ্র আর কে রমেন সহ ১৫ বিএসএফ সদস্য এবং বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন শ্রীপুর কোম্পানী কামান্ডার নায়েক সুবেদার মোঃ আব্দুর রশিদ সহ ১৫ সদস্যের বিজিবি টিম। এ সময় সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বুরহান উদ্দিন সহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে বিজিবি’র শ্রীপুর কোম্পানী কামান্ডার নায়েক সুবেদার আব্দুর রশিদ জানান বিএসএফ’র সন্দেহ হয়েছিল যে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক আইন লংঘন করে প্রাচীর নির্মাণ করছে। বিষয়টি সরেজমিনে দেখার পর প্রাচীর নির্মাণে তাদের পক্ষে কোন বাধা নেই বলে জানায়। যার ফলে সাইট্রাস গবেষণা কেন্দ্রের প্রাচীর নির্মাণে বিএসএফ’র আর বাধা রইল না। বিজিবি’র পক্ষ থেকে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ দ্রুত চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। (খবর সংবাদদাতার)