কুষ্ঠরোগ নির্মূলের জন্য প্রয়োজন অধিক জনসচেতনতা : সিভিল সার্জন

3

 

সিলেটের সিভিল সার্জন ডা. মনিসর চৌধুরী বলেছেন, কুষ্ঠরোগ নির্মূলের জন্য প্রয়োজন অধিক সচেতনতা। দেশের প্রতিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং জেলা সদর হাসপাতালে কুষ্ঠরোগের চিকিৎসা এবং বিনামূল্যে কুষ্ঠরোগের ঔষধ পাওয়া যায়। এগুলো কাজে লাগাতে হবে।
সিভিল সার্জন অফিস সিলেটের উদ্যোগে এবং লেপ্রা বাংলাদেশের অর্থায়নে প্রেস ও মিডিয়া এসোসিয়েশনের সাথে কুষ্ঠ বিষয়ে অ্যাওয়ারনেস মিটি-এ সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) সিভিল সার্জন অফিসের কনফারেন্স রুমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সিলেট জেলার কুষ্ঠ কার্যক্রম সর্ম্পকে পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন প্রর্দশন করেন সিলেট জেলা সার্ভিলেন্স মেডিকেল অফিসার ডা. আবির হোসেন।
সভায় লেপ্রা বাংলাদেশের প্রতিনিধি শ্যামল কুমার চৌধুরী বলেন, কুষ্ঠরোগ নির্মূল এবং কুষ্ঠ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য লেপ্রা বাংলাদেশ বর্তমানে মাঠ পর্যায়ে ২৯ প্রকার/ধরনের কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চলেছে। তাছাড়া এ পর্যন্ত সিলেট জেলায় পায়ের তলায় ঘা আছে বা পায়ের তলা অনুভুতিহীন এরকম ৭৬ জন কুষ্ঠ রোগীকে এক ধরনের বিশেষ স্যান্ডেল (গঈজ ঝধহফধষ) প্রদান করা করেছে। সভায় প্রেস ও মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ ছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিভিল সার্জন অফিসের ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত, মেডিকেল অফিসার ডা. মাইমুন নাহার নাসরিন, সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. আব্দুল রফিক, কুষ্ঠ হাসপাতালের জুনিয়র কনসালটেন্ট (চর্ম ও যৌন) ডা. নাহিদ রহমান, লেপ্রা বাংলাদেশের মনিটরিং অফিসার শ্যামল কুমার চৌধুরী, সিভিল সার্জন অফিসের প্রোগ্রাম অর্গানাইজার আব্দুল আওয়াল ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর মো. হাফিজুর রহমান।
অ্যাওয়ারনেস মিটিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ডা. মনিসর চৌধুরী জানান, বর্তমানে সিলেট জেলায় ১৯০ জন চিকিৎসাধীন কুষ্ঠ রোগী রয়েছে। যার মধ্যে সিলেট সদর উপজেলায় ২৮ জন, ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় ৬৩ জন, জৈন্তাপুর উপজেলায় ১ জন ও কুষ্ঠ হাসপাতাল সিলেটে ৯৮ জন। তিনি আরও জানান, ১৯০ জন চিকিৎসাধীন কুষ্ঠ রোগীর মধ্যে পুরুষ ১২৪ জন এবং মহিলা ৬৬ জন। যাদের মধ্যে ৭ জন শিশুরোগীও রয়েছে। ২০২৪ সালে সিলেট জেলায় ১৫০ জন নতুন কুষ্ঠ রোগী শনাক্ত হয়েছে। তিনি জানান, লেপ্রা বাংলাদেশ সিলেট জেলায় ২০২২ সালের প্রলয়ংকারী বন্যা পরবর্তী ১৮৬ জন কুষ্ঠ রোগীর মধ্যে নগদ ৫, ৯৫, ০০০ টাকা (প্রতিজন ৩, ২০০ টাকা করে) মানবিক সহায়তা প্রদান করে।