কাজির বাজার ডেস্ক
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই তিনি যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসনব্যবস্থার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করবেন। নির্বাচনী প্রচারণার সময় দেওয়া এই মূল প্রতিশ্রæতিটি দ্রæত পূরণ করার অঙ্গীকার করেছেন তিনি। ক্ষমতা গ্রহণের এক দিন আগে রোববার ওয়াশিংটনে এক সমাবেশে ট্রাম্প হাজার হাজার সমর্থকের উদ্দেশে এসব কথা বলেন। ক্যাপিটাল ওয়ান এরিনাতে আয়োজিত ‘মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন’ বিজয় সমাবেশে সমবেতদের উদ্দেশে ট্রাম্প বলেন, ‘কাল সূর্যাস্তের সময় থেকে আমাদের দেশে অনুপ্রবেশ থামবে।’
নির্বাচনী প্রচার চলার সময় ট্রাম্প বারবারই বলেছেন, প্রেসিডেন্ট হলে তিনি অভিবাসীদের বিতাড়িত করতে যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সবচেয়ে কঠিন তৎপরতা শুরু করবেন। এই পদক্ষেপের আওতায় লাখ লাখ অভিবাসীকে বিতাড়িত করা হবে। তবে ওই মাত্রায় অভিবাসনবিরোধী অভিযান চালাতে গেলে কয়েক বছর লেগে যাবে এবং খরচ অনেক বেশি হবে।
ট্রাম্প বলেন, ‘এটা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসের সর্বশ্রেষ্ঠ রাজনৈতিক আন্দোলন। ৭৫ দিন আগে, আমরা ঐতিহাসিক রাজনৈতিক বিজয় অর্জন করেছি। আমাদের দেশ কখনো এমনটা দেখেনি। আমি ঐতিহাসিক শক্তি প্রয়োগ করে ব্যবস্থা নেব এবং আমাদের দেশের প্রতিটি সংকটের সমাধান করব।’
২০২১ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে এটি ওয়াশিংটনে দেওয়া ট্রাম্পের প্রথম বড় ভাষণ। ওই ভাষণের পর ট্রাম্পের সমর্থকেরা ক্যাপিটল হিলে হামলা চালাতে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল। এবার ট্রাম্প বলেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নিলে ক্যাপিটল হিলে হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত দেড় হাজারের বেশি মানুষকে ক্ষমা করে দেবেন।
আরেকটি সূত্র বলেছে, ট্রাম্প প্রথম যেসব নির্বাহী আদেশ দেবেন, সেগুলোর মধ্যে সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব পাবে। পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে, মাদক চক্রগুলোকে ‘বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন’ আখ্যা দেওয়া, যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা এবং ‘মেক্সিকোতে থাকুন’ নীতি পুনর্বহালের দিকে অগ্রসর হওয়া। ‘মেক্সিকোতে থাকুন’ নীতির আওতায় মেক্সিকোর নন, এমন আশ্রয়প্রার্থীরা মার্কিন আদালতের তারিখ পেতে সেখানেই অপেক্ষায় থাকবেন।
ট্রাম্পের বিতাড়ন পরিকল্পনাগুলো অভিবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করেছে। তাঁরা বিতাড়িত হওয়ার আশঙ্কায় আছেন। অভিবাসীদের পক্ষে সোচ্চার থাকা অনেকে বলছেন, এর মধ্যে এমন কিছু অভিবাসী আছেন, তাঁরা আইন মেনে চলেন, দীর্ঘমেয়াদি বাসিন্দা ও তাঁদের স্বামী/স্ত্রীর মার্কিন নাগরিকত্ব ও সন্তান আছে।
ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রে আজ ক্যাপিটল ভবনের একটি কক্ষে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন। অনুষ্ঠানটি বাইরে আয়োজন করার কথা থাকলেও শীতকালীন আবহাওয়ার কারণে পরে তা ভেতরে আয়োজন করা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ২৫ হাজার সদস্য অনুষ্ঠানে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন।