শাহ্ মাশুক নাঈম, দোয়ারাবাজার
তীব্র শীতেও থেমে নেই সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলার কৃষকেরা। তাঁরা এই শীত উপেক্ষা করেই বোরো চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন। জমিতে পানি সেচ, হালচাষ, সার প্রয়োগ, বীজ ওঠানোসহ বিভিন্ন কাজের চাপে ফুরসত পাচ্ছেন না তাঁরা। পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান থাকায় শীতের তীব্রতা অনান্য এলাকার চাইতে বেশি।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর উপজেলায় ১২ হাজার ৯ শত হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে হাইব্রিড জাতের ৩ হাজার ৫৫০ হেক্টর ও উচ্চ ফলনশীল (উফশী) জাতের ৭ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি রয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কেউ ট্রাক্টর দিয়ে হাল চাষ করছেন, কেউ শ্যালো মেশিন দিয়ে জমিতে পানি দিচ্ছেন, আবার কেউ বা ধানের চারা বীজতলা থেকে তুলছেন। বেশ কিছু জমিতে আবার চারা রোপণ করা হয়েছে।
নাইন্দার হাওরের কৃষক ফারুক মিয়া বলেন, ‘এক একর জমিতে চারা রোপণ করবেন। অর্ধেক লাগানো হয়ে গেছে। একদিকে শীত অন্যদিকে শ্রমিকের মূল্য বেশি তাই নিজেই ধানের চারা লাগাচ্ছি।
আরেক কৃষক মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমি ৬৩ শতাংশ জমিতে ধানের চারা রোপণ করেছি। বীজতলা থেকে চারা লাগানো, ওঠানোসহ শ্রমিকদের দিয়েছি ৪ হাজার টাকা। এ বছর খরচটা একটু বেশি। কেয়ার প্রতি হালচাষ করতে দিতে হয় পাঁচ শ, চারা রোপণে চার শ, সেচ বাবদ দিতে হবে তিন শ। তারপর আছে সার-বিষ, আগাছা পরিষ্কার ইত্যাদি খরচের টাকা বাদ দিয়ে আসলে আমার কী থাকবে?’
উপজেলার সদর ইউনিয়নের শ্রমিক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা পাঁচজনে দলবদ্ধ হয়ে চারা রোপণ করি। প্রতিদিন ছয় থেকে আট কাঠা জমিতে চারা রোপণ করতে পারি। আমরা প্রতি কাঠা (সাড়ে ছয় শতাংশ) ৪০০ টাকা করে রোপণ করি।’
দোয়ারাবাজার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শেখ মুহাম্মদ মহসিন কাজির বাজারকে বলেন, জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ৭০-৮০ পারসেন্টের মতো রোপণ শেষ হয়েছে। আবহাওয়া অনুক‚লে থাকলে বোরো আবাদে তেমন সমস্যা হবে না। লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে ইনশাআল্লাহ।