বিশ্বনাথে এক যুগেও হয়নি সেতু

6

মশিউর রহমান, বিশ্বনাথ

বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী নদীর ওপর সেতু নেই। নদীটির ওপর নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে উপজেলার দুটি ইউনিয়নের প্রায় ২০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
ফলে এই এলাকার শিক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষকে পুহাতে হচ্ছে দুর্ভোগ।
এলাকাবাসী সূত্র জানায় উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের বিলপার গ্রামের দক্ষিণ পাশে ও রামপাশা ইউনিয়নের আশুগঞ্জ বাজারের নিকটবর্তী স্থানে এ বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন স্থানীয় এলাকাবাসী। প্রায় ১০বছর ধরে এলাকাবাসীর চাঁদায় নির্মিত বাঁশের সাঁকো দিয়ে ওই নদী পারাপার করেন পথচারীরা। প্রতিদিন এ পথে দুটি ইউনিয়নের বিলপাড়, দ্বিপবন, বাবুনগর, পাঁচঘরি, দোহাল, পালেরচক, কোনাপাড়া, নোয়াপাড়া, শ্রীপুরসহ ২০ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। সাঁকোটির পূর্ব পাশে আশুগঞ্জ বাজার ও আশুগঞ্জ স্কুল এন্ড কলেজ এবং আশুগঞ্জ প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। নদীর এপার ওপারে ২০গ্রামের মানুষের বসবাস। প্রতিনিয়ত দুটি ইউনিয়নের হাজার-হাজার মানুষ জীবনের ঝুকি নিয়ে নানা উপায়ে নদী পারাপার হয়ে থাকেন। দেশ স্বাধীনের ৪৮ বছরের এ এলাকার মানুষের যাতায়াত খাজাঞ্চী নদীর ভোগান্তি লাঘবে কোনো ব্রীজ নির্মাণ করা হয়নি। উপজেলা পর্যায়ে সরকারি কোনো সহায়তা না পাওয়ায় ওই এলাকার মানুষের বাঁশ-কাঠ অর্থ ও স্বেচ্ছা শ্রমে নির্মিত করেন বাঁশের সাঁকো। প্রতি বছর এলাকাবাসীর অর্থায়নে নির্মিত সাঁকোটি নির্মাণ করা হয়। এই সাঁকো দিয়ে প্রতিদিন শতশত মানুষ চলাচল করে আসছে। বর্ষা মৌসুমে বাঁশ দিয়ে নির্মিত সাঁকোটি অনেকবার ভেঙে গেলেও মেরামত করেন এলাকাবাসী।
খাজাঞ্চী নদীর ওপর একটি ব্রীজের অভাবে দু’পাড়ের কৃষক তাদের ফসল উৎপাদন, ফসল ঘরে ও হাটবাজারে নিতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয়। বাবুনগর গ্রামের শংকর বিহারী দাশ বলেন, দীর্ঘদিন ধরে নদীর ওপর ব্রীজ নির্মাণে দাবি জানিয়ে আসছেন এলাকাবাসী। কিন্তু এতে কোনো ফল হয়নি।
এবিষয়ে জেলা সহকারী প্রকৌশলী সুবল চন্দ্র মন্ডল বলেন, আবেদন থাকলে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখতে কতৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবো।