সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি  

3

কাজির বাজার ডেস্ক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদে বিরোধী দলের আসনে জাতীয় পার্টিই বসবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সোমবার (২২ জানুয়ারি) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক জানতে চান- সংসদে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল জাতীয় পার্টি ১১টি আসনে আর আর স্বতন্ত্ররা জিতেছেন ৬২ আসনে। এমন পরিস্থিতিতে সংসদের বিরোধী দল কে হবে। এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের উল্টো প্রশ্ন করেন, ‘বিরোধী দল কার হওয়া উচিত?’ তখন ওই সাংবাদিক বলেন, দ্বিতীয় বৃহত্তম দলেরই হওয়া উচিত। এ সময় কাদের বলেন, ‘তাহলে ধরে নিন তারাই (জাতীয় পার্টি হচ্ছে)।’
বিরোধী দলীয় নেতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংসদের কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী বিরোধী দল বলে কোনো কিছু না থাকলেও বিরোধী দলীয় নেতার বিষয়টি রয়েছে। কার্যপ্রণালি বিধি অনুযায়ী বিরোধী দলের নেতা কে হবেন, সেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার স্পিকারের। স্পিকার যাকে বিরোধী দলের নেতা হিসেবে স্বীকৃতি দেবেন, তিনি সংসদে প্রধান বিরোধী দলের নেতা হবেন।
সরকারের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার অঙ্গীকারের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব মন্ত্রণালয়কে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। এটা নিয়ে এরই মধ্যে কাজ শুরু হয়েছে। এটা তো এক-দুই দিনের ব্যাপার নয়। খুব দ্রæত এই কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া সবাই দেখতে পাবেন।
এ সময় বিএনপির কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, তারা সবকিছু হারিয়ে এখন দুঃখসাগরে নিমজ্জিত। নির্বাচনে হেরে গেছে, আন্দোলনে হেরে গেছে, নির্বাচন বর্জন করেছে। আমি শুধু বলব, কালো পতাকা মিছিলের সঙ্গে কালো ব্যাজটাও ধারণ করতে। তাহলে ষোলো আনা পূর্ণ হয়ে যাবে।
তিনি বলেন, তারা (বিএনপি) বিভিন্নভাবে সরকারবিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত রয়েছে। দেশে-বিদেশে গুজব ছড়াচ্ছে। তাদের অগ্নিসন্ত্রাসের সঙ্গে এখন যুক্ত হয়েছে গুজবসন্ত্রাস। দেশে-বিদেশে তারা সরকারের বিরুদ্ধে গুজব চালাচ্ছে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার কচুপাতার পানি যেমন : টাক (ধাক্কা) লাগলে পড়ে যাবে- তেমন সরকার নয়। এই সরকারের শিকড় বাংলাদেশের মাটির অনেক গভীরে। এ সরকারের শক্তির উৎস বাংলাদেশের জনগণ। কথার বোমা মেরে এই সরকারকে উৎখাত করা যাবে না।
এ সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক ও সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া, কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন, পারভীন জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।