শারদীয় দূর্গাপূজা উদযাপন নিয়ে চা-শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে এসপির মতবিনিময়

3

শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি

চা শিল্পাঞ্চল এলাকা শ্রীমঙ্গল উপজেলায় শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা, প্রগতি এই শ্লোগানকে সামনে নিয়ে আগামী শারদীয় দূর্গা পূজা উপলক্ষে মৌলভীবাজার জেলায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে চা বাগানের চা শ্রমিক নেতাদের সহিত সদ্য যোগদানকৃত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রবিবার বিকেলে শ্রীমঙ্গলস্থ জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে শ্রীমঙ্গল থানা পুলিশের আয়োজনে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ জাহাঙ্গীর হোসেন সরদার’র সভাপতিত্বে ও পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম পরিচালনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা পুলিশ সুপার মো.মনজুর রহমান (পিপিএম-বার)।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অর্ধেন্দু কুমার দেব বেভুল, কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সঞ্জয় মোহন চক্রবর্তী, শ্রীমঙ্গল প্রেসক্লাব সভাপতি বিশ্বজ্যোতি চৌধুরী, সাবেক উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান প্রেম সাগর হাজরা, রাজঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বিজয় বুনার্জী, কালিঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রাণেশ গোয়ালা, সাবেক কালিঘাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পরাগ বাড়ই, সাবেক সাতগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিলন শীল।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ চা শ্রমিক ইউনিয়নের সহসভাপতি পঙ্কজ কন্দ, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক নৃপেন পাল, কোষাধ্যক্ষ পরেশ কালিন্দি, বালিশিরা ভ্যালির সভাপতি বিজয় হাজরা, ফুলছড়া চা বাগানের পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি জগবন্ধু রায়, সন্তোষী রায় প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় চা শ্রমিক নেতারা বলেন, চা বাগান গুলোতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে আসন্ন দূর্গা পূজা উৎসবে দেশীয় বৈধ মদের দোকানগুলো বন্ধ রাখতে অনুরোধ জানিয়েছেন। বহিরাগত মাদক সেবনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা ও চা শ্রমিকদের গৃহপালিত গরু-ছাগল চুরি-ডাকাতি রোধ করতে পুলিশের প্রতি অনুরোধ জানান। এছাড়া চা বাগান শ্রমিকদের পুলিশে চাকরি প্রদান করতে পুলিশ সুপারের সহযোগিতা কামনা করেন চা শ্রমিক নেতারা।
মৌলভীবাজার পুলিশ সুপার মো.মনজুর রহমান বলেছেন, চা বাগান শ্রমিক নেতাদের বক্তব্যে থেকে বুঝা গেলো তাদের এ উপলব্ধি হয়েছে বিট্রিশরা চা বাগানে মদের প্রচলন করে। চা শ্রমিকরা সপ্তাহে যা রুজি করেন প্রায় সব টাকা মদ সেবনে চলে যায়। তিনি তাদের এই উপলব্ধির জন্য শ্রমিক নেতাদের ধন্যবাদ জানান।
তিনি আরও বলেন, আপনাদের ছেলে-মেয়েরা বিভিন্ন পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে পড়ালেখা করছে ও সরকারি চাকরি পাচ্ছে। এটা আপনাদের আগ্রযাত্রার সহায়ক। আপনাদের সহযোগিতা নিয়ে আমরা জেলা পুলিশ মাদকসহ সব ধরনের আইনশৃঙ্খলা বিরোধী কাজ বন্ধ করতে দৃঢ প্রতিজ্ঞ রয়েছি।