গোলাপগঞ্জে মোটরসাইকেল চুরির ১২ ঘণ্টা পর উদ্ধার, চক্রের দুই সদস্য গ্রেফতার

7

 

স্টাফ রিপোর্টার

সিলেটের গোলাপগঞ্জে অভিনব পন্থায় এক মসজিদের ইমামের মোটরসাইকের চুরি করে একটি চক্র। তবে অভিযোগ পাওয়ার পর রাতভর অভিযান চালিয়ে ১২ ঘণ্টার মধ্যে এ চক্রের দুজন আটক ও চুরি হওয়া মোটরসাইকেল উদ্ধার করে থানা পুলিশ।
থানা পুলিশ সূত্র জানায়, গোলাপগঞ্জের শরীফগঞ্জ এলাকার পানিয়াগা গ্রামের মসজিদের সাবেক এক ইমামের পূর্ব পরিচিত স্থানীয় আরিফ নামের এক যুবক। আরিফ মোটরসাইকেল চোর চক্রের সক্রিয় সদস্য। পূর্ব পরিচয়ের জের ধরে ওই ইমামকে মুঠোফোনে কল করে আরিফ বলে- গোলাপগঞ্জের কানিশাইল গ্রামে একজন রোগী আছেন। ইমাম এসে ওই রোগীকে দেখে চিকিৎসা দেওয়ার অনুরোধ করে আরিফ। আরিফের অনুরোধে ওই ইমাম মঙ্গলবার ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার দিকে কানিশাইল গ্রামের একটি বাড়িতে যান। আরিফ-ই তাঁকে সঙ্গে নিয়ে ওই বাড়িতে যায়। এসময় ওই বাড়িতে আরও কয়েকজন যুবককে অবস্থান করতে দেখা যায়। ইমামকে নিয়ে একটি ঘরে ঢুকে তারা অপেক্ষা করতে বলেন। কিন্তু বেশ কিছুক্ষণ কোনো রোগী দেখতে না পেয়ে ইমামের মনে সন্দেহ ঢুকে এবং তিনি ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন- উঠোনে রাখা তার মোটরসাইকেলটি নেই। এসময় তিনি আরিফ ও তার সঙ্গীদের এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে তারা ইমামকে হুমকি-ধমকি দিয়ে বাড়িটি থেকে তাড়িয়ে দেয়।
ঘটনার পর ওই ইমাম গোলাপগঞ্জ থানায় গিয়ে লিখিত অভিযোগ দিলে তৎক্ষণাৎ পুলিশের একটি টিম অভিযানে বের হয়। রাতভর অভিযান চালিয়ে চোর চক্রের দুই সদস্যকে আটক করে পুলিশ। পরে আটক দুজনের দেওয়া তথ্যমতে পরদিন বুধবার সকালে সিলেটের জৈন্তাপুর থেকে চুরি হওয়া মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করা হয়।
আটক দুজন হলেন- সিলেটের গোলাপগঞ্জ সদর এলাকার আব্দুল কাদিরের ছেলে জামিল আহমদ (২৩) ও একই এলাকার উমর আলীর ছেলে ফাহিম আহমদ (২২)। তবে আরিফকে এখনো আটক করা সম্ভব হয়নি। তাকেসহ চক্রের অন্যান্যদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
গোলাপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা খবর পাওয়ামাত্র অভিযানে নামি। থানার চৌকষ একদল পুলিশ অফিসার মঙ্গলবার রাতভর অভিযান চালিয়ে এ চক্রের দুজনকে আটক করেছে। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরপূর্বক বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
সিলেট জেলা পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার (মিডিয়া ফোকাল পয়েন্ট কর্মকর্তা) মো. সম্রাট তালুকদার জানান- পুলিশ সুপার স্যারের নির্দেশে জেলাজুড়ে সব ধরনের অপরাধ দমন ও অপরাধীদের গ্রেফতারে কাজ করছে পুলিশ। এমন অভিযান সবসময় অব্যাহত থাকবে।