জনপ্রশাসন পদক পাচ্ছেন ২৮ ব্যক্তি ও দুই প্রতিষ্ঠান

9

 

কাজির বাজার ডেস্ক

দেশে ‘জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস’ উপলক্ষে আগামী ৩১ জুলাই দেওয়া হবে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে। জানা গেছে, সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের ২৮ জন কর্মকর্তা, একটি মন্ত্রণালয় ও একটি প্রতিষ্ঠান এই পদক পাচ্ছে। ২৮ জন ব্যক্তির মধ্যে ২৩ জন পাবেন দলগত শ্রেণিতে এবং ব্যক্তিগত শ্রেণিতে পদক পাচ্ছেন পাঁচজন কর্মকর্তা। আগে এই পদকের নাম ছিল শুধু জনপ্রশাসন পদক। ২০২২ সাল থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে দেওয়া হচ্ছে ‘বঙ্গবন্ধু জনপ্রশাসন পদক’। সরকারি কর্মচারীদের উদ্ভাবনী ও কৃতিত্বপূর্ণ কাজে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ২০১৬ সাল থেকে দেশে জাতীয় পাবলিক সার্ভিস দিবস পালন করা হয়। জাতিসংঘ দিবসটি ২৩ জুন পালন করলেও বাংলাদেশ তা পালন করে ২৩ জুলাই। দিবসটি সরকারের ‘খ’ শ্রেণিভুক্ত দিবস।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হলো ‘সবার আগে সুশাসন, জনসেবায় উদ্ভাবন’। আগামী ৩১ জুলাই রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এই পদক তুলে দেওয়া হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পদকপ্রাপ্তরা একটি করে স্বর্ণপদক, সম্মাননাপত্র ও ক্রেস্ট এবং ব্যক্তিগত অবদানের জন্য দুই লাখ এবং দলগত অবদানের জন্য পাঁচ লাখ করে টাকা পাবেন। দলগত অবদানের ক্ষেত্রে দলের সর্বোচ্চ সদস্য সংখ্যা হবে পাঁচজন। প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে শুধু স্বর্ণপদক, ক্রেস্ট ও সম্মাননাপত্র প্রদান করা হবে। পদকপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা নামের শেষে বঙ্গবন্ধু পাবলিক অ্যাডমিনেস্ট্রেশন অ্যাওয়ার্ড (বিপিএএ) ব্যবহার করতে পারবেন।
সরকারি আনুষ্ঠানিক কর্মসূচিতে পোশাকের সঙ্গে জনপ্রশাসন পদকের মনোগ্রাম ব্যবহার করতে পারবেন।
এবার যারা পদক পাচ্ছেন: হৃদরোগ চিকিৎসাসেবা উন্নয়নে অবদান রাখায় প্রাতিষ্ঠানিকভাবে পদক পাচ্ছে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট।
নীতি ও প্রশাসনিক পদ্ধতির সংস্কার ক্যাটাগরিতে অবদানের জন্য মনোনীত হয়েছে খাদ্য মন্ত্রণালয়। নীতি ও পদ্ধতির সংস্কার করে এবং ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহারের ফলে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমে সরকারের বিপুল পরিমাণ আর্থিক সাশ্রয় হওয়ায় খাদ্য মন্ত্রণালয় এ পদক পাচ্ছে। এ ছাড়া সাধারণ প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনা শ্রেণিতে দলগতভাবে এই পদক পাচ্ছেন পাঁচজন। তারা হলেন- ল²ীপুর জেলার সাবেক জেলা প্রশাসক (বর্তমানে স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব) মো. আনোয়ার হোছাইন আকন্দ, ল²ীপুরের সিভিল সার্জন ডা. আহম্মদ কবীর, জেলার সাবেক অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) নূর-এ আলম, সদর উপজেলার সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইমরান হোসেন ও রায়পুর উপজেলার ইউএনও অনজন দাস।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন শ্রেণিতে মনোনীত হয়েছেন চারজন কর্মকর্তা। এর মধ্যে রয়েছেন শরীয়তপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক (বর্তমানে বরিশাল বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার) পারভেজ হাসান, জেলার কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের সাবেক উপপরিচালক মতলুবর রহমান, জাজিরা উপজেলার ইউএনও কামরুল হাসান সোহেল এবং জাজিরা উপজেলার কৃষি কর্মকর্তা জামাল হোসেন।
পরিবেশ উন্নয়ন শ্রেণিতে মনোনীত হয়েছেন পাঁচজন। তারা হলেন- হবিগঞ্জের সাবেক জেলা প্রশাসক (বর্তমানে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের উপসচিব) ইশরাত জাহান, জেলার সাবেক পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানেওয়াজ তালুকদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিন্টু চৌধুরী, সহকারী কমিশনার নাভিদ সারওয়ার ও পৌরসভার সহকারী প্রকৌশলী দিলীপ কুমার দত্ত।
উন্নয়ন প্রশাসন শ্রেণিতে এই পদক পাচ্ছেন খাগড়াছড়ি জেলার সাবেক জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব কে এম ইয়াসির আরাফাত, জেলার সাবেক সহকারী কমিশনার বাসুদেব কুমার মালো ও সাবেক সহকারী কমিশনার শেখ নওশাদ হাসান। বিশেষ দুর্যোগ ও সংকট মোকাবেলায় অবদানের জন্য ব্যক্তিগতভাবে পদক পাচ্ছেন গাজীপুর জেলার সিভিল সার্জন ডা. মো. খায়রুজ্জামান, সামাজিক উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা শ্রেণিতে সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার সাদি উর রহিম জাদিদসহ পাঁচজন কর্মকর্তা।