মানবদেহে ন্যূনতম মাত্রার সীসা দূষণও ক্ষতিকর

4

 

মানবদেহে সীসা দূষণের ভয়াবহতা সম্পর্কে ব্যাপক জনসেচতনতা সৃষ্টি করতে হবে। কারণ ন্যূনতম মাত্রার সীসা দূষণও ক্ষতিকর। বিশেষ করে আধুনিক জীবনযাত্রায় ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রয়োজনীয় উপকরণের মধ্যে দিয়েই মানবদেহে এ দূষণ ঘটছে। স্বাস্থ্য সম্মত পরিবেশ ও সঠিক খাদ্যগ্রহণ নিশ্চিত করার মাধ্যমে এ ধরনের ক্ষতিকর দূষণ কমানো যায়।
সোমবার ইউনিসেফ ও স্বাস্থ্য বিভাগের আয়োজনে এক কর্মশালায় এ অভিমত ব্যক্ত করা হয়। নগরীর একটি হোটেলে আয়োজিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. এস এম শাহরিয়ার। সভাপতিত্ব করেন ইউনিসেফ এর সিলেট জোনাল চিফ ডা. কাজী আফরোজা ইসলাম। বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মো. এমরান হোসেন।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউনিসেফ এর হেলথ অফিসার দিদারুল আলম ও সাইদুল হক মিলকী, শাবিপ্রবির ভ‚গোল ও পরিবেশ বিভাগীয় প্রধান ড. আনোয়ারুল ইসলাম, ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. জন্মেজয় দত্ত প্রমুখ। ইউনিসেফ কর্মকর্তারা জানান, সিলেটসহ ৪টি জেলায় সম্প্রতি পরিচালিত জরিপে শিশুদের মধ্যে সীসার ক্ষতিকর মাত্রার দূষণ পাওয়া গেছে। বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় সাড়ে তিন কোটিরও বেশি শিশু এ ধুষণে আক্রান্ত। কর্মশালায় আরও জানানো হয় নানা ধরনের ই-বর্জ্য, পুরনো ব্যাটারী, বাসাবাড়ির রং, গ্রীল ইত্যাদির পাশাপাশি বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদান মিশ্রিত খাদ্যদ্রব্য থেকেও মানবদেহে সীসা দূষণ ছড়াতে পারে। তবে দরিদ্র জনগোষ্ঠীই বেশি ঝুকিপূর্ণ। সমাজের সকল পর্যায়ে ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে সীসার দূষণ কমাতে হবে। বিজ্ঞপ্তি