আজ থেকে এসএসসি পরীক্ষা শুরু

25

কাজির বাজার ডেস্ক
আজ রোববার থেকে শুরু হচ্ছে ২০২৩ সালের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। সারা দেশে ১১টি শিক্ষা বোর্ড থেকে এ বছর পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে ২০ লাখ ৭২ হাজার ১৬৩ জন পরীক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ১০ লাখ ২১ হাজার ১৯৭ জন এবং ছাত্রী ১০ লাখ ৫০ হাজার ৯৬৬ জন। ২৯ হাজার ৭৯৮টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৩ হাজার ৮১০টি কেন্দ্রে এবার পরীক্ষা হবে। গত বছরের চেয়ে এবার প্রতিষ্ঠান বেড়েছে ২০৭টি এবং কেন্দ্র বেড়েছে ২০টি। গত ২৫ এপ্রিল এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে জাতীয় মনিটরিং ও আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কমিটির সভা শেষে এ তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এদিকে পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে কঠোর অবস্থানে শিক্ষা ও পরীক্ষার সুষ্ঠুভাবে নেওয়ার সঙ্গে যুক্ত আরও তিনটি মন্ত্রণালয় ও স্থানীয় প্রশাসন। এছাড়াও শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, শনিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও শিক্ষাবোর্ডগুলো অফিসিয়াল ছুটি হলেও একটি টিম স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ ডাক ও টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক কমিশন (বিটিআরসি) সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছেন। বিটিআরসি তত্ত¡বাধানে একটি টিম ফেসবুক তদারকি করছে। এর সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও আন্তঃশিক্ষা বোর্ডর কর্মকর্তারা কাজ করছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা আন্তঃশিক্ষা বোর্ডর সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর তপন কুমার সরকার শনিবার সকালে বলেন, আজ থেকে ফেসবুক ও মোবাইল লেনদেন নজরদারি শুরু করেছে বিটিআরসি। শিক্ষাবোর্ডের কর্মকর্তারাও বিটিআরসিতে থাকবে। এছাড়াও ইনস্টাগ্রাম, ইউটিউবসহ অন্যান্য সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের গুজব সৃষ্টিকারীদের পেজ দ্রæত বন্ধ করা হবে। এজন্য ফেসবুকসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিটিআরসি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করবে। তিনি জানান, প্রশ্নঁফাস (৮এরপর দেখুন হওয়ার চেয়ে গুজব ঠেকানোই বড় কঠিন। কারণ প্রশ্নঁফাস করা কঠিন কিন্তু গুজন ছড়ানো সহজ। ২৫ এপ্রিল পরীক্ষা নিয়ে আইন শৃঙ্খলা কমিটির বৈঠকে এ বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটরিং করার সিদ্ধান্ত হয়।
সিলেট বোর্ডে পরীক্ষার্থী কমেছে ৬ হাজার : সিলেট শিক্ষা বোর্ডে এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ছাত্রের তুলনায় ছাত্রীর সংখ্যা প্রায় দেড় গুণ। আজ রবিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া এ পরীক্ষায় অংশ নিতে বোর্ডের অধীনে চার জেলায় ফরম পূরণ করেছে ১ লাখ ১০ হাজার ৪০২ জন। তাদের মধ্যে ছেলের সংখ্যা ৪৫ হাজার ৫৯৮ জন। আর মেয়ের সংখ্যা তার চেয়ে প্রায় ২০ হাজার বেশি। অর্থাৎ প্রতি ১০০ জন ছাত্রের বিপরীতে ছাত্রী আছে ১৪৪ জন।
বাংলাদেশে জনসংখ্যার যে অনুপাত, তাতে ছেলে ও মেয়ের সংখ্যা প্রায় কাছাকাছি। সেখানে সিলেটে এত পার্থক্যের কীভাবে হল, তার কোনো সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যা মেলেনি।
সিলেট বিভাগে এমনিতেই পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ দেশে অন্য বিভাগগুলোর তুলনায় কম। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর ‘মনিটরিং দ্য সিচুয়েশন অব ভাইটাল স্ট্যাটিস্টিকস অব বাংলাদেশ ২০২১ প্রতিবেদন অনুযায়ী শিক্ষার হারে দেশে সবচেয়ে পিছিয়ে সিলেটে। তবে সেখানে মেয়েরা ধীরে ধীরে আগ্রহী হয়ে উঠছে, তার প্রমাণ মিলছে।
গত বছর এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় এ বোর্ডে ৪৯ হাজার ৮৭ জন ছেলের বিপরীতে পাস করে ৬৬ হাজার ৩০৪ জন মেয়ে। এই পরিসংখ্যান বিবেচনায় নিলে দেখা যাচ্ছে, এবার মেয়েরা এগিয়ে গেছে আরও।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অরুণ চন্দ্র পাল বলেন, মেয়েরা পড়ালেখায় সচেতন। এ কারণে তারা এগিয়ে যাচ্ছে। আবার সিলেট অঞ্চলের ছেলেদের বিদেশ যাওয়ার প্রবণতা আছে। এ কারণে তারা পড়ালেখায় অমনযোগী হয়ে পড়ে। এবারের এসএসসি পরীক্ষায় বোর্ডে পরীক্ষার্থী কমেছে ৬ হাজারের মত। এর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যাই কমেছে বেশি। গত বছর এসএসসি পরীক্ষার্থীর ফরম পূরণ করেন ১ লাখ ১৬ হাজার ৪৯০ জন শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নেন ১ লাখ ১৫ হাজার ৩৯১ জন।
এবার বিভাগের ১৪৯টি কেন্দ্রে ৯৩১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা পরীক্ষায় অংশ নেবে। বিভাগের চার জেলার মধ্যে সিলেটে ৫৯টি, হবিগঞ্জে ৩১টি, মৌলভীবাজারে ২৬টি এবং সুনামগঞ্জে ৩৩টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে।
কোন জেলায় কত পরীক্ষার্থী : বোর্ডের অধীনে চার জেলার সব কটিতেই ছেলেদের চেয়ে এগিয়ে মেয়েরা। এর মধ্যে সিলেট জেলায় মোট পরীক্ষার্থী ৪১ হাজার ৪২৯ জন। তাদের ১৭ হাজার ২৮৭ জন ছাত্র; আর ছাত্রীর সংখ্যা ২৪ হাজার ১৪২ জন। হবিগঞ্জে ২০ হাজার ৫৪২ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে ৮ হাজার ৩৮১ এবং মেয়ে ১২ হাজার ১৬১ জন।
মৌলভীবাজারে ২৪ হাজার ৭৪৫ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছেলে ৯ হাজার ৮৪১ জন, আর ছাত্রীর সংখ্যা ১৪ হাজার ৯০৪ জন।
সুনামগঞ্জের ২৩ হাজার ৬৮৬ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ১০ হাজার ৮৯ জন, ছাত্রী ১৩ হাজার ৫৯৭ জন।
পরীক্ষার্থী বেশি মানবিকে : বোর্ডের পরীক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতি ১০ জনের সাত জনই মানবিকের। তাদের মোট সংখ্যা ৮০ হাজার ১৫ জন। এর মধ্যে ছাত্র ৩১ হাজার ৬৯৮, ছাত্রী ৪৮ হাজার ৩১৭ জন। বিজ্ঞান বিভাগে পরীক্ষায় অংশ নেবে ২৩ হাজার ২৪০ জন। তাদের মধ্যে ছেলে ১০ হাজার ২১২ জন; মেয়ে ১৩ হাজার ২৮ জন।
কেবল ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগে ছেলেরা কিছুটা এগিয়ে। এই বিভাগে ৭ হাজার ১৪৭ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছেলের সংখ্যা ৩ হাজার ৬৮৮ জন, মেয়ে আছে ৩ হাজার ৪৫৯ জন।
পরীক্ষার্থী কমল কেন : প্রতি বছর পরীক্ষার্থীর সংখ্যা যেখানে বেড়ে যায়, সেখানে সিলেটে এবার উল্টো দৌড় কেন, এই প্রশ্নে শিক্ষা বোর্ডের সচিব মো. কবির আহমদ জানান, “করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে এসএসসি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ে হতে পারেনি। পরিস্থিতি যখন কিছুটা স্বাভাবিক হয়, তখন সিলেবাস কমিয়ে এসব পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।
“সংক্ষিপ্ত সিলেবাসে পরীক্ষা হওয়ায় অধিকাংশ অনিয়মিত ও ফেল করা পরীক্ষার্থী পাস করে। ফলে আগের বছরের অকৃতকার্য পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবার কম। তাই মোট সংখ্যাটি কিছুটা কমেছে।”
কী কী নির্দেশনা : পরীক্ষা গ্রহণে প্রস্তুতি শেষ হয়েছে জানিয়ে বোর্ড সচিব বলেন, “পরীক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় সরঞ্জাম কেন্দ্রে-কেন্দ্রে পৌঁছে গেছে। ভিজিল্যান্স টিম ও স্পেশাল ভিজিল্যান্স টিম গঠন করা হয়েছে। এছাড়া খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। এ বছর সবকটি বিষয়ে পরীক্ষা তিন ঘণ্টা করে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, পরীক্ষার আধা ঘণ্টা আগেই পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছতে হবে। মোবাইল বা এ ধরনের কোনো ডিভাইস ব্যবহার করা যাবে না।
কেন্দ্র সচিব ফিচার ফোন সঙ্গে রাখতে পারবেন। অন্য কেউ মোবাইল ব্যবহার করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) সুদীপ দাস জানান, তারাও পুরোপুরি প্রস্তুত, প্রতিটি কেন্দ্রেই পুলিশ থাকবে।
গণমাধ্যমে পাঠানো গণবিজ্ঞপ্তিতে মহানগর পুলিশ জানায়, পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে সমাবেশ, মিছিল, ঢাকঢোল বাজানো, লাউড স্পিকার ব্যবহার, অস্ত্রশস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, ইট পাথর, ইত্যাদি বহন নিষিদ্ধ থাকবে।
প্রশ্নফাঁস ও গুজব ঠেকাতে যেসব পদক্ষেপ : জানা গেছে, পরীক্ষা শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও বিটিআরসিকে সর্বোচ্চ সতর্ক রাখা হয়েছে। যেসব গ্রæপ বা ব্যক্তি ফেসবুকে প্রশ্নফাঁসের গুজব ছড়াবে বা প্রশ্নফাঁস করে দেবে বলে প্রচারণা চালাবে তাদের আইডি শনাক্ত করে পুলিশের বিশেষ শাখা এবং গোয়েন্দা সংস্থাকে দেওয়া হবে। এ রকম গুজব সৃষ্টিকারী ব্যক্তিদের মোবাইল লেনদেনও নজরদারিতে থাকবে। পরীক্ষা চলাকালে ফেসবুকে প্রশ্নফাঁস নিয়ে গুজব এবং মোবাইল ব্যাংকিংয়ে সন্দেহজনক লেনদেনে নজর রাখা হবে। প্রশ্ন ছাপানোর সঙ্গে সম্পৃক্ত বিজি প্রেসের সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হবে। এমনকি প্রশ্ন সর্টিং ও বহনে জড়িত শিক্ষক ও কর্মকর্তারাও থাকবেন নজরদারিতে। ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়রম্যান বলেন, সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশ্নফাঁসের গুজব সৃষ্টিকারীদের পেজ দ্রæত বন্ধ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য ফেসবুকসহ অন্যান্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিটিআরসি সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করবে। যদি কোনো মোবাইল নম্বরে একাধিকবার একই অংকের টাকা লেনদেন হয় তাহলে সংশ্লিষ্ট এজেন্টকে নিকটস্থ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে অবহিত করতে হবে। কেন্দ্র সচিব ছবি তোলা ও ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধাবিহীন একটি সাধারণ (ফিচার) ফোন ব্যবহার করতে পারবেন। কেন্দ্র সচিব ব্যতীত পরীক্ষা কেন্দ্রে অন্য কেউ মোবাইল ফোন বা অননুমোদিত ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করতে পারবেন না। ট্রেজারি-থানা থেকে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারীরা কোনো ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না।
প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে আরও যেসব পদক্ষেপ থাকছে : পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আরও বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে শিক্ষাবোর্ডগুলো। এরমধ্যে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে। অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থীর দেরি হলে তার নাম, রোল নম্বর, প্রবেশের সময়, দেরি হওয়ার কারণ ইত্যাদি একটি রেজিস্টারে লিখে রাখা হবে। ট্রেজারি-থানা থেকে প্রশ্নপত্র গ্রহণ ও পরিবহন কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তা, শিক্ষক, কর্মচারীরা কোনো ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং প্রশ্নপত্র বহন কাজে কালো কাচ যুক্ত মাইক্রোবাস বা এরূপ কোনো যানবাহন ব্যবহার করা যাবে না। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ২৫ মিনিট পূর্বে প্রশ্নের সেট কোড সচিবকে জানানো হবে। সেই অনুযায়ী কেন্দ্র সচিব, ট্যাগ অফিসার ও পুলিশ কর্মকর্তার স্বাক্ষরে প্রশ্নপত্রের প্যাকেট বিধি অনুযায়ী খুলবেন। জেলার ক্ষেত্রে ট্রেজারি এবং উপজেলার ক্ষেত্রে খানা প্রশ্নপত্রের ট্রাঙ্ক সংরক্ষণ করতে হবে। পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে সর্ব সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে। কোনো প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষক কোনোভাবে পরীক্ষায় বেআইনি কোনো কাজ করলে সে প্রতিষ্ঠান, প্রতিষ্ঠান প্রধান, শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দোষী শিক্ষক ও কর্মচারী সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হলে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় ব্যবস্থা এবং বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হলে তার এমপিও স্থগিত করা হবে। ট্রেজারি/থানা থেকে প্রশ্ন কেন্দ্রে পৌঁছানোর জন্য দূরত্ব অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সময় নির্ধারণ করে প্রশ্নপত্র আনতে হবে।
দেশের বাইরে ৮ কেন্দ্র, পরীক্ষার্থী ৩৭৪ জন : চলতি বছর এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় দেশের বাইরে ৮টি কেন্দ্র এবার মোট ৩৭৪ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করবে। এর মধ্যে জেদ্দায় ৮৯ জন, রিয়াদে ৫১ জন, ত্রিপলীতে ৪ জন, দোহায় ৭৭ জন, আবুধাবীতে ৪১ জন, দুবাইয়ে ২৭ জন, বাহরাইনে ৬৫ জন, সাহাম ওমানের ২০ জন পরীক্ষার্থী রয়েছে। পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা (পরীক্ষার্থী, কক্ষ প্রত্যবেক্ষক, মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন টিম, বোর্ডের পরিদর্শন টিম, জেলা ও উপজেলা পরিদর্শন টিম, নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য) ছাড়া অন্য কেউ কেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবে না।
শ্রæতিলেখক পাবেন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন পরীক্ষার্থীরা : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি জানান, প্রতিবারের মতো এবারও বিশেষভাবে সক্ষম পরীক্ষার্থীদের জন্য নেওয়া বিশেষ ব্যবস্থা থাকবে। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, সেরিব্রাল পালসিজনিত প্রতিবন্ধী এবং যাদের হাত নেই এমন পরীক্ষার্থী শ্রæতি লেখক সঙ্গে নিয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। প্রতিবন্ধী (অটিস্টিক, ডাউন সিনড্রোম, সেরিব্রাল পালসি) পরীক্ষার্থীদের অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় বাড়ানোসহ শিক্ষক/অভিভাবক/সাহায্যকারীর বিশেষ সহায়তায় পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
এসএসসিতে প্রশ্ন ফাঁসের গুজব ছড়ালে কঠোর ব্যবস্থা : শিক্ষামন্ত্রী : শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘এসএসসি পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁস হওয়ার কোন সুযোগ নেই। কেউ গুজব ছড়ালে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ শনিবার ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার দক্ষিণ আইচা অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম কলেজের নবনির্মিত একাডেমিক ভবন উদ্বোধন শেষে এক সুধি সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো জাতীয়করণ করার সাথে সরকারের আর্থিক বিষয় জড়িত আছে। এটা নিয়ে সরকার চিন্তা ভাবনা করছে। এগুলো সরকারি হলে ভাল হয়, নাকি অটোনোমাস থাকলে ভাল হয়- এটা নিয়ে গবেষণার দরকার আছে।’ বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। শেখ হাসিনা দেশ ও দেশের মানুষের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন।’
ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আগামী বছর নির্বাচনের বছর। আগামী নির্বাচন সিদ্ধান্ত গ্রহণের নির্বাচন। আমরা গণতন্ত্র ও উন্নয়নের পথে এগিয়ে যেতে চাই। এগিয়ে যেতে চই সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে। আমরা কোন দিনও আর হাওয়া ভবনের সেই দুর্নীতিবাজদেরকে ক্ষমতায় দেখতে চাই না।’ এসময় দক্ষিণ আইচা অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম কলেজের অধ্যক্ষ আবুল হাসেম মহাজনের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ভোলা -৪ আসনের সাংসদ আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইচ চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মশিউর রহমান, জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক ই-লাহী চৌধুরী ও পুলিশ সুপার মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।