মহানগর ছাত্রলীগের বিশাল আনন্দ শোভাযাত্রা

13

৪ঠা জানুয়ারি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এবং নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা করেছে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ।
মঙ্গলবার দুপুর ২ টায় সিলেট মহানগর ছাত্রলীগের উদ্যোগে রেজিস্ট্রারি মাঠ থেকে
আনন্দ শোভাযাত্রা বের হয়ে বন্দর, কোর্ট পয়েন্ট, জিন্দাবাজার প্রদক্ষিণ করে চৌহাট্টা পয়েন্টের গোল চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ নেতা ফাহিম আহমদের সভাপতিত্বে ও ছাত্রলীগ নেতা মোঃ আল-আমীনের যৌথ পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সদস্য নসু ভৌমিক ও ছাত্রলীগ নেতা এডভোকেট মফিজুর রহমান।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ বলেন, ছাত্রলীগ হলো শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির পতাকাবাহী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিজ হাতে গড়া সংগঠন। ১৯৪৮ সালের ৪ঠা জানুয়ারি ছাত্রলীগ প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর আগামীকাল পূর্ণ হতে যাচ্ছে ৭৫তম বছর। সময়ের প্রয়োজন মেটাতেই এগিয়ে চলা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের। নেতৃবৃন্দ বলেন, বিগত ২৩শে ডিসেম্বর ২০২২ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একমাত্র অভিভাবক জননেত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মেধাবী ছাত্রনেতা সাদ্দাম হোসেনকে সভাপতি ও সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মেধাবী ছাত্রনেতা শেখ ওয়ালি আসিফ ইনানকে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব অর্পন করেন। নেতৃবৃন্দের নাম প্রকাশের পর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতা-কর্মীদের মধ্যে আনন্দ-উচ্ছ্বাস বিরাজ করছে। সেই আনন্দের উচ্ছ্বাসে সিলেট মহানগর ছাত্রলীগও আনন্দিত। এরই ধারাবাহিকতায় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে স্বাগত জানিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলা ভাষার মর্যাদা ও জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় রাজপথে সদা সোচ্চার ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনা পিতার দেখানো পথেই দেশকে উন্নয়নের মহাসড়কে পৌঁছে দিয়েছেন। আজ তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণের সাহসী পদক্ষেপ নিয়েছেন। প্রত্যেকটি পদক্ষেপে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে এবং আগামীর সকল আন্দোলন সংগ্রামেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ করোনা মহামারী, বন্যাসহ সকল প্রাকৃতিক দুর্যোগ এবং ধান কাটা সহ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যেকটি নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করেছে। সেই ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে। তারা বলেন, সিলেট মহানগর ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের প্রত্যেকটি নির্দেশনা ও কর্মসূচী পালনের জন্য প্রস্তুত আছে। বিএনপি-জামায়াতের দেশব্যাপী নৈরাজ্য, সকল ষড়যন্ত্র ও গুজব মোকাবিলায় মহানগর ছাত্রলীগ অতন্দ্র প্রহরীর মতো কাজ করবে। বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রশ্নে কোনো আপোষ হবে না। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে, সব অশুভ শক্তিকে পেছনে ফেলে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে, দেশগড়ার প্রত্যয়ে এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। এই প্রত্যয়ে ছাত্রলীগ অঙ্গীকারবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ।
সেøাগানে সেøাগানে মুখরিত রাজপথের আনন্দ শোভাযাত্রায় উপস্থিত ছিলেন সাবেক মহানগর ছাত্রলীগ নেতা জাকিরুল আলম জাকির,
এম.এন বাবু চৌধুরী, আব্দুল হাই আল হাদী, তোফায়েল আহমেদ, সামন্ত ধর, জাকারিয়া হোসেন, মোঃ নজরুল ইসলাম, আহমদ হামজা চৌধুরী, সিরাজুল ইসলাম মিরাজ, সদ্য সাবেক কেন্দ্রীয় সদস্য নাছিম আহমদ রাহী, ইব্রাহিম আলম শাওন, সোয়েব বাসিত, এস.ডি সুমেল, বিজয় কর্মকার, সাইদুল খান, মোঃ নুরুজ্জামান জুয়েল, জাকারিয়া আহমদ, মওলানা জামিল আহমদ, রাধে সিনহা, নিতিশ রঞ্জন দাস অপু, মোসাদ্দেক মুসা, আরিফ আহমেদ, মহানগর ছাত্রলীগ নেতা অসীম চন্দ্র পাল, পারভেজ আহমেদ, জাহাঙ্গীর খান অনিক, রনবীর দাস রনি, প্রনব রায়, ফজলে রাব্বি রাসেদ, জনি চন্দ্র পাল, শাহ বোরহান, রায়হান রনি, সজীব দে, লব চন্দ্র, ফারহান আহমদ সহ মহানগর ছাত্রলীগের শত শত নেতা-কর্মীবৃন্দ। বিজ্ঞপ্তি