বিশ্বনাথে পটকা বিস্ফোরণে আহত স্কুল ছাত্র নাবিদকে ঢাকায় প্রেরণ

4

বিশ্বনাথ থেকে সংবাদদাতা :
নিজের তৈরি করা পটকা বিস্ফোরণে সিলেটের বিশ্বনাথে নাবিদ আহমদ (১৭) নামের এক স্কুলছাত্র গুরুত্বর আহত হয়ে ঢাকাস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে বলে জানা গেছে।
নাবিদ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নের বাওনপুর (পূর্বপাড়া) গ্রামের সৌদি আরব প্রবাসী সাজ্জাদ মিয়ার পুত্র ও সিলেট সদর উপজেলার বাছিরপুর আইডিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্র। শুক্রবার ২৩ ডিসেম্বর সকাল ১১টার দিকে তার বাড়িতেই ঘটনাটি ঘটে। তবে তার পরিবারের দাবী বিশ্বকাপের আনন্দ করার লক্ষে আতশবাজির জন্য তৈরী করা পটকা বিস্ফোরণে আহত হয়েছে নাবিদ।
এদিকে, সোমবার ২৬ ডিসেম্বর সকাল থেকে উপজেলায় চাউয় হয়- ‘বোমা বানাতে গিয়ে স্কুল ছাত্র নাবিদ গূরুত্বর আহত হয়ে বঙ্গবন্ধু মেডিকেল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছে। তার বাম হাতের অবস্থা খুবই খারাপ, যা হয়তোবা কেটে ফেলতে হবে এবং গুপ্ত অঙ্গও ঝলসে গেছে। আর নাবিদের পরিবারে সদস্য ও স্বজনসহ এক জনপ্রতিনিধি বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন।
বিষয়টি জানতে পেরে সরেজমিনে বাওনপুর (পূর্বপাড়া) গ্রামে গেলে দেখা যায়, বোমা নয়, নিজের তৈরী করা পটকা বিস্ফোরিত হয়ে গুরুত্বর আহত হয়েছে নাবিদ। বিস্ফোরণে নাবিদের বাম হাতের ৫টি আঙ্গুল ও গুপ্ত অঙ্গ ঝলসে গেছে। সাথে সাথে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সেখান থেকে ঢাকা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসাপাতালে প্রেরণ করা হয়। আবার কেউ কেউ বলেছেন ঘটনার পূর্বের দিন দোকান থেকে আর্জেন্টিনার সমর্থক নাবিদসহ কয়েকজনকে আতশবাজির পটকা তৈরী করার জন্য বেশ কিছু দিয়াশলাই ক্রয় করতে দেখেছেন।
নাবিদের দাদি বৃদ্ধা হুর বিবি বলেন, আতশবাজির পটকা বানাতে গিয়ে তার নাতি আহত হয়েছেন। নাবিদের মা সেলিনা বেগম বলেন, আমার ছেলে মেসির দল আর্জেন্টিনার সমর্থক। আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হওয়ায় আনন্দ করার জন্য ইউটিউব দেখে দিয়াশলাইয়ের বারুদ দিয়ে আতশবাজির পটকা তৈরী করতে চেয়ে ছিলো। আর এতে বিস্ফোরণ হলে সে আহত হয়। বোমা বা ককটেলের বিষয়টি সম্পূর্ণ গুজব।
এ ব্যাপারে বিশ্বনাথ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জাহিদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক তদন্তে বোমা বা ককটেলে বিষয়টি বুঝা যাচ্ছে না। আতশবাজির বিষয়টিই সঠিক হতে পারে। তবে গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে বিষয়টি।
বিশ্বনাথ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গাজী আতাউর রহমান বলেন, থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ও আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এ বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে।