মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে কানাইঘাটে আওয়ামী লীগে বিক্ষোভ মিছিল

2

কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
সম্প্রতি কানাইঘাট উপজেলা বিএনপির মিছিল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কটুক্তির প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিএনপি নেতাকর্মী কর্তৃক আওয়ামীলীগের সহযোগী সংগঠনের বহু নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়েরের প্রতিবাদে কানাইঘাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীরা।
গত বুধবার বিকেল ৩টায় উপজেলা যুবলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলী, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগ কানাইঘাট উপজেলা শাখার যৌথ উদ্যোগে দলের নেতাকর্মীরা কানাইঘাট বাজারে মিছিল বের হয়। মিছিল পরবর্তী বাজার পয়েন্টে এক পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।
উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক এনামুল হকের সভাপতিত্বে এবং শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক জুনেদ হাসান জীবান ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মারুফ আহমদের যৌথ পরিচালনায় মিছিল পরবর্তী পথসভায় বক্তরা বলেন, সম্প্রতি কানাইঘাট বাজারে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে আওয়ামীলীগের সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক শ্লোগান সহ কানাইঘাটের শান্ত পরিবেশকে অশান্ত করার জন্য বিএনপির নেতাকর্মীরা কানাইঘাট বাজারে নৈরাজ্য সৃষ্টি করলে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা তাদের এমন নৈরাজ্যে প্রতিবাদ করেন। কিন্তু বিএনপির নেতাকর্মীরা সম্পূর্ণ মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে আদালতে উপজেলা যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলী, শ্রমিকলীগ, কৃষকলীগ ও ছাত্রলীগের বহু নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করায় আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। অবিলম্বে বিএনপি কর্তৃক আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহারের দাবী জানান। বক্তারা বলেন, কানাইঘাট বাজারে বিএনপির কোন দলীয় কার্যালয় নেই, অহেতুক ভাবে সাজানো মামলা দিয়ে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের হয়রানী করছে।
পথসভায় বক্তব্য রাখেন, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহবুবুল আম্বিয়া, কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক হারিছ উদ্দিন, স্বেচ্ছাসেবকলীগের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জহিরুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সভাপতি এম. আখতার হোসেন।
উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুবলীগ নেতা নজমুল ইসলাম, আলমগীর হোসেন, সেবুল আহমদ, মামুন রশিদ রাজু, রেদোয়ান আহমদ মারুফ, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রোমান আহমদ নোমান, কানাইঘাট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি আব্দুর রহমান সহ যুবলীগ, কৃষকলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলী, শ্রমিকলীগ, ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।