আখালিয়ায় শিশু হত্যার ঘটনায় পিতার মামলা ॥ মায়ের সঙ্গে ঝগড়ার জেরে রাহুলকে হত্যা করে পূর্বতী

3

স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর আখালিয়ার হাওলদারপাড়ায় শিশু রাহুল দাস (৩) হত্যার ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন নিহতের পিতা রুবেল দাস। মামলায় প্রধান আসামী করা হয়েছে গ্রেফতারকৃত পূর্বতী রানী দাসসহ (৩২) অজ্ঞাতনামা আরো ২ জনকে।
তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে রাহুলের মা রুমা দাসের সাথে ঝগড়া হয় পূর্বতী রানী দাসের। এ ঝগড়াকে কেন্দ্র করেই ৩ বছর বয়সী রাহুল দাসকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেন পূর্বতী। হত্যার পর রাহুলের লাশ একটি স্যুটকেসের মধ্যে ভরে খাটের নিচে রাখেন। একদিন পর লাশের পচা গন্ধ বের হলে সুযোগ বুঝে গত সোমবার ভোররাতে লাশটি বাড়ির পাশে বাঁশঝাড়ে ফেলে আসেন পূর্বতী। গতকাল মঙ্গলবার এমনিভাবে পূর্বতী সিলেটের সংশ্লিষ্ট আদালতে ফৌজধারী কার্যবিধি আইনের ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দী প্রদান করেন। পরে পুলিশ পূর্বতীকে আদালতের নির্দেশে কারাগারে প্রেরণ করেছে। এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জালালাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাজমুল হুদা খান।
গ্রেফতারকৃত পূর্বতী সুনামগঞ্জ জেলার দিরাই থানার শামারচর (খাসিয়াহাটি) গ্রামের দীগেন্দ্র দাসের স্ত্রী আর নিহত রাহুল দাস হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর গ্রামের রুবেল দাসের পুত্র। রুবেল দাস রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। বর্তমানে তারা মদীনা মার্কেট এলাকার কালিবাড়ি সবুজবাগ আবাসিক এলাকার বাসিন্দা।
জালালাবাদ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নাজমুল হুদা খান বলেন, নগরীর কালিবাড়ির বাবুল দেবের কলোনিতে প্রতিবেশী ছিলেন রাহুলের মা রুমা দাস ও রাহুলের খুনী পূর্বতী দাস। দুদিন আগে রুমা দাসের সঙ্গে তুচ্ছ একটি ঘটনা নিয়ে সাথে ঝগড়া হয় প্রতিবেশী পূর্বতী দাসের। এই ঝগড়ার জেদ থেকেই রুমা দাসের শিশু সন্তানকে বাসায় ডেকে নিয়ে শ্বাস রোধে হত্যা করেন পূর্বতী দাস। তিনি আরও জানান, গত শনিবার ১৬ এপ্রিল দুপুর ১টায় শ্বাসরোধে হত্যা করে একটি স্যুটকেসের মধ্যে ভরে খাটের নিচে রেখে দেন ঘাতক পূর্বতী। পরে লাশটি পচে দুর্গন্ধ বের হলে গত সোমবার ভোরে লাশটি কলোনির পার্শবর্তী বাঁশ ঝাড়ের মধ্যে রেখে আসেন তিনি। ওইদিন সকাল ৯টার দিকে এক প্রতিবেশী বাঁশঝাড়ে বাচ্চাটির লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে জালালাবাদ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রাহুলের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ মর্গে প্রেরণ করে। বিকেলে ময়না তদন্ত শেষে পুলিশ ওইদিন নিহতের লাশ তার আত্মীয়-স্বজনের কাছে হস্তান্তর করেছে।