যাদের জন্য তলিয়ে গেল দিরাইর হুরামন্দিরা হাওর, এদের চিনে রাখার আহবান

14

সুনামগঞ্জ থেকে সংবাদদাতা :
দিরাই উপজেলার হুরামন্দিরা হাওর চাপতির হাওর পনিতে তলিয়ে যায় ১৭ এপ্রিল রাতে। পিআইসির কাজ শুরু থেকেই কৃষকরা অভিযোগ করছিলেন সময় মত বাঁধের কাজ শুরু না হওয়ার, দেড়ীতে কাজ হওয়ার কাজ নিম্ন মানের হয়েছে। তারা হাওর তলিয়ে যাওয়ায় পিআইসির নিম্ন মানের কাজকেই দায়ী করেছেন।
কৃষকরা জানান, পিআইসর লোকেরা দায়সাড়ভাবে বাঁধের কাজ করেছে। গতকাল সন্ধ্যা থেকে এলাকার কৃষকরা নিজ দায়িত্বে বাঁধ রক্ষার জন্য চেষ্টা করেছেন তাদের সে চেষ্টা সফল হয়নি। তলিয়ে যায় হুরামন্দিরা হাওর।
যাদের পিআইনির বাঁধ ভেঙ্গে হাওর তলিয়ে গেছে তাদের চিনে রাখার জন্য কৃষকরা সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
জানা যায়, দিরাই উপজেলাধীন জগদল ইউনিয়নের হুরামন্দিরা হাওর উপ-প্রকল্প কিঃমিঃ ৮.৭০০ হতে কিঃ মিঃ ৯.৩০০, কিঃ মিঃ ৯.৪৫০ হতে ৯.৪৬৯, কিঃমিঃ ৯.৪৪৫ হতে কিঃমি ৯.৮৯৩ কিঃমিঃ ১০.০০০ হতে কিঃমিঃ ১০.৩৮০=১.৩৪৭ কিঃ মিঃ অংশ বাঁধের ভাঙ্গা বন্ধকরণ ও মেরামত কাজ হিসেবে এ বাঁধে ১৭ লাখ ৭৮ হাজার ২শ ১৭ টাকা ১৮ পয়সা বরাদ্দ দেওয়া হয়।
এ প্রকল্পে সভাপতি ছিলেন, রায়বাঙ্গালী গ্রামের মৃত হাছন আলীর পুত্র শেখ মো. মকসুদ আলী, সদস্য সচিব আটপুড়িয়া গ্রামের মুহিত মোহন দাসের পুত্র মিরন কান্তি দাস।
অন্যান্য সদস্যরা হলেন, আটপুড়িয়া গ্রামের ফটিক মিয়া, রাংবাঙ্গালী গ্রামের শেখ মো. রুবেল মিয়া, আটপুড়িয়া গ্রামের ফারুক মিয়া। কৃষকরা মনে করেন এ পাঁচ জনের অধিক অর্থলোভের কারণে বাঁধ ভেঙ্গেছে। তারা পিআসির সকল সদস্যদের আইনের আওতায় এনে বিচার দাবি করেন। এবং এ কাজের সাথে যেসব সরকারী কমীকর্তা জড়িত ছিলেন বাঁধ ভাঙ্গার অভিযোগে তাদের ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।